রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিভিন্ন সড়কে ছোট-বড় গাছে পেরেক ঠুকে লাগানো সম্মেলনের ব্যানার-সাইনবোর্ড সরিয়ে ফেলেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

ঢাকা পোস্টে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের পর শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি থেকে দুটি টিমের অভিযানের মাধ্যমে এসব ব্যানার-পোস্টার তুলে ফেলা হয়।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পর থেকে বিভিন্ন সড়কের পাশের গাছগুলোতে পেরেক ঠুকে ব্যানার-সাইনবোর্ড সাঁটাতে দেখা গেছে পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীদের। এ নিয়ে ঢাকা পোস্টে ‘রাবি ক্যাম্পাসে পেরেকের যন্ত্রণায় হাজারো গাছ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর প্রশাসনের নজরে আসে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হকের নির্দেশে এসব ব্যানার খুলে ফেলা হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, শুক্রবার বিকেল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির দুইটি টিমের মধ্যে, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেইট থেকে প্যারিস রোডের গাছগুলোতে পেরেক দিয়ে সাঁটানো সাইনবোর্ডগুলো খুলছে। দ্বিতীয় টিম বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরেবাংলা হল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় মেইন গেট দিয়ে ভেতরে আসতে সাবাস বাংলাদেশ মাঠের আশেপাশে গাছগুলো থেকে  সাইনবোর্ড খুলতে কাজ করতে দেখা যায়।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গত মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) ক্যাম্পাসের গাছে পেরেক ঠুকে ব্যানার-ফেস্টুন লাগানো থেকে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন মহলকে বিরত থাকতে সতর্কতামূলক প্রচারণা চালায়। তাতেও কোনো লাভ হয়নি। নির্দেশনার পরেও গাছগুলোতে ঝুলছিল ব্যানার।

এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর ড. জহুরুল আনিস বলেন, আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর রাবি শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলন। তার আগেই নেতাকর্মীদের সঙ্গে বসে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বজায় রেখে যেন তারা ব্যানার-ফেস্টুন টানায় সেই নির্দেশ দেওয়া হয়। পেরেক ঠুকে ব্যানার লাগানো হলে গাছের ক্ষতি হয় এবং পরিবেশের ক্ষতি হবে। আমরা তাদেরকে জানানোর পরেও দেখলাম অধিকাংশ ব্যানার, সাইনবোর্ড পেরেক পুঁতে সাঁটানো হয়েছে। তাই প্রক্টর অফিসের সিদ্ধান্তে পেরেক ঠুকে লাগানো ব্যানার-সাইনবোর্ড তুলে ফেলতে অভিযান পরিচালনা করছি।

অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হল বলেন, যারা পেরেক ঠুকে ব্যানার-পোস্টার সাটাচ্ছে তাদেরকে আমরা জানিয়েছি। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে মাইকিংও করা হয়েছে তারপরেও শিক্ষার্থীরা সচেতন হয়নি। ফলে আজকে আমরা অভিযান চালাচ্ছি।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. মো. জাকির হোসেন, ড. হাকিমুল হক।

এমজে