বীরকন্যা প্রীতিলতার আত্মাহুতি দিবসে ঢাবিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম বিপ্লবী বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের ৯১তম আত্মাহুতি দিবস স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মিলন চত্বরে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়েছে।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র নামের সংগঠন এ আয়োজন করে।
বিজ্ঞাপন
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ‘আজ ব্রিটিশরা নেই, পাকিস্তানী শাসকরা নেই, তার পরিবর্তে আছে দেশীয় শোষক শ্রেণি। এদের সবার চরিত্রই এক ও অপরিবর্তনীয়। সব শাসকরাই মানুষের বিবেককে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে অন্ধবিশ্বাস আর ধর্মীয় গোঁড়ামিকে উসকে দিয়ে নিজেদের রক্ষা করতে চেয়েছে’
প্রীতিলতার আত্মজীবনী তরুণ সমাজের কাছে তুলে ধরতে হবে উল্লেখ করে তারা বলেন, দেশের একদল সচেতন ও সাহসী মানুষ মহান এই পূর্বসূরিদের জীবনসংগ্রাম থেকে শিক্ষা নিয়ে আজকের দিনের এই বিপদসংকুল পথে এগিয়ে যাবার প্রেরণা পায়, মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার শক্তি পায়। নবজাগরণের সংগ্রামে যাদের কীর্তি অতুলনীয়, স্বাধীনতা সংগ্রামে যারা সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে আপসহীন লড়াই পরিচালনা করেছিলেন, তাদের জীবনকে তরুণসমাজের সামনে সঠিকভাবে তুলে ধরতে হবে।
বিজ্ঞাপন
বক্তারা আরও বলেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে দেশের স্বাধীনতার জন্য নারীরা সশস্ত্র সংগ্রামে অংশগ্রহণ করুক-এটাই চেয়েছিলেন প্রীতিলতা। আত্মাহুতির মধ্য দিয়ে তিনি সেই দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছিলেন। সুতরাং অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সাহস অর্জন করতে প্রীতিলতার যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে এই মহৎ চরিত্রের চর্চা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নিলফার ইয়াসমিন শিল্পী বলেন, প্রীতিলতার জীবন আমাদের জন্য আদর্শ। তিনি আমাদের জন্য যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন, সেই আদর্শকে সামনে নিয়েই আমাদেরকে পথ পাড়ি দিতে হবে। সব ধরনের প্রতিকূল পরিবেশে এগিয়ে যেতে হবে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মধ্য দিয়েই প্রীতিলতার আদর্শকে ধারণ করা সম্ভব।
অনুষ্ঠানে সীমা দত্তের সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক তৌফিকা লিজার পরিচালনায় সভায় আলোচনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নিলফার ইয়াসমিন শিল্পী ও ঢাকা নগরের সদস্য সুস্মিতা রায় সুপ্তি।
এমএ