বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের মধ্য থেকেই কোষাধ্যক্ষ ও প্রশাসনিক পদে নিয়োগ চায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষক সমিতি। বুধবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. একেএম লুৎফর রহমান বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদের সময়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্পের কাজে নানা অনিয়ম বিভিন্ন গণমাধ্যম ও পত্র-পত্রিকায় উঠে এসেছে। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটিতে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ আহ্বায়ক থাকা অবস্থায় সাকা চৌধুরীর পরিবার সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে লেকের টেন্ডার দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণে আইন ও বিধিবিধান অনুসরণে ব্যর্থ হয়েছে বলে পরিকল্পনা কমিশন কর্তৃক গঠিত প্যানেল রায় দেয়। সে রায়ে কোষাধ্যক্ষকে কমিটি থেকে বাদসহ আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। আমরা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুধু পিছিয়ে পড়ছি কিছু প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে।

অধ্যাপকদের মধ্য থেকে ট্রেজারার নিয়োগের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক নেতারা বলেন, কোষাধ্যক্ষ পদে ড. কামালউদ্দিন আহমদের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২৬ নভেম্বর। আগামী ট্রেজারার আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের মধ্য থেকে চাই। ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদ ৫ বছর পূর্বেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন।

শিক্ষক সমিতির নেতারা আরও বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৫৬ জন অধ্যাপক রয়েছেন। এর মধ্যে দুইজন অধ্যাপক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং দুইজন উপ-উপাচার্য হিসেবে সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়া, প্রাইভেট বিশ্বদ্যিালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য পদে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন অধ্যাপক বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া অতীতেও বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারার পদে দায়িত্ব পালন করেছেন অনেক অধ্যাপক।

শিক্ষক সমিতি সংবাদ সম্মেলনে জানায়, উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করার স্বার্থে অনতিবিলম্বে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের মধ্য থেকে অভিজ্ঞ যে কোনো একজনকে কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলামসহ অন্যান্য শিক্ষক নেতারা। 

এমএল/এমজে