ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ঢাবি শিক্ষার্থীদের সমাবেশ
ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের চলমান গণহত্যা, ধ্বংসযজ্ঞের নিন্দা জানিয়েছেন সমাবেশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একদল শিক্ষার্থী।
সোমবার (৯ অক্টোবর) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক সমাবেশে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন তারা।
বিজ্ঞাপন
সমাবেশ শেষে মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ভিসি চত্বর হয়ে রেজিস্ট্রার বিল্ডিং, হল পাড়া দিয়ে ঘুরে মধুর ক্যান্টিন ও সেন্ট্রাল মসজিদ হয়ে আবার রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে শেষ হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা ‘লাব্বাইক লাব্বাইক, লাব্বাইক ইয়া আকসা’, ‘ইন্তিফাদা ইন্তিফাদা, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ইসরাইলের সেনারা অবৈধভাবে ফিলিস্তিনের সাধারণ জনগণকে নির্যাতন করে যাচ্ছে। ‘শাহবাগীরা’ ইসরাইলে রকেট হামলা নিয়ে সমালোচনা করে, কিন্তু ইসরাইল যখন হামলা করে তখন তারা আওয়াজ তোলে না। নোয়াম চমস্কির ভাষায় বলতে চাই, আমাদের ওপর করা অত্যাচার থেকে মুক্তির জন্য রকেট হামলা করেছি। আল আকসা মুসলমানদের প্রথম কেবলা। সুতরাং সেটি রক্ষা করতে মুসলিমরা নিজেদের জীবন দিয়ে চেষ্টা করবে।
বিজ্ঞাপন
সমাবেশে ইসলামি স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক আবদুল্লাহ যোবায়ের বলেন, ১৯৭১ সালে আমাদের মা-বোনেরাও পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে যেভাবে নির্যাতিত হয়েছেন, ফিলিস্তিনেও দীর্ঘদিন ধরে মা-বোনেরা নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে। একজন মুসলিম হিসেবে তাদের ব্যথাটা আমরা অনুভব করতে পারি। বাংলাদেশ সরকারও স্বাধীনতা লগ্ন থেকেই ফিলিস্তিনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে আসছে। আজ আমরা সেই সংহতি জানানোর জন্যই একত্রিত হয়ে হয়েছি।
ঢাবি শিক্ষার্থী জামালউদ্দিন মুহাম্মদ খালিদ বলেন, ফিলিস্তিনের এই লড়াই নতুন নয়। আমিরা স্বাধীনতার আগে অত্যাচার-বঞ্চনার সময়টি পার করে এসেছি। ফিলিস্তিনিরা এখন এই ক্রান্তিলগ্ন অতিক্রম করছে। এক শ্রেণির লোক আছে যারা প্রশ্ন তোলে কে আগে হামলা করেছে। আমাদের দেশেও এই শ্রেণির লোক রয়েছে। অথচ ফিলিস্তিনের মসজিদ, হাসপাতাল ও সাধারণ বসতির ওপর হামলা করলে তারা কোনো প্রতিবাদ করে না।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা ফিলিস্তিনের তুফান আল আকসার প্রতি সংহতি জ্ঞাপন করছি। ইসরায়েলের অবৈধ দখলদারিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারবে না।
এসময় বক্তব্য রাখেন আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শাখাওয়াত জাকারিয়া, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান ও আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী শরীফ উদ্দিনসহ আরও অনেকে।
কেএইচ/কেএ