লকডাউনের আগেই খাদ্য ও কাজের নিশ্চয়তার দাবিতে ঢাবিতে সমাবেশ
সবার জন্য করোনা টিকা ও পর্যাপ্ত ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণ করে বিনামূল্যে চিকিৎসা নিশ্চিতের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশ থেকে শ্রমজীবী জনগণের খাদ্য ও কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তার দাবি জানানো হয়েছে।
রোববার (১১ এপ্রিল) প্রগতিশীল আটটি ছাত্র সংগঠনের যৌথ আয়োজনে সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞাপন
সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মাসুদ রানা বলেন, ভঙ্গুর স্বাস্থ্যব্যবস্থা, অপর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা ও সরকারের দায়িত্বহীনতার ফলে করোনায় মানুষের মৃত্যু হার বাড়ছে। অবিলম্বে পর্যাপ্ত, আইসিইউ, করোনা বেড, ফিল্ড হাসপাতালের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায়, সারাদেশে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, লকডাউনের শর্তপূরণ না করে ঘরে আটকে রেখে মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে সরকার। শ্রমজীবী মানুষের কর্ম ও খাবারের নিশ্চয়তা ছাড়া লকডাউন অর্থহীন। সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থীর বেতন-ফি মওকুফ করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি আরিফ মঈনউদ্দীন বলেন, করোনা আক্রান্তদের যাবতীয় চিকিৎসার খরচ সরকারকেই বহন করতে হবে। সব নাগরিকের জন্য অবিলম্বে করোনা টিকার ব্যবস্থা করতে হবে।
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি দীপা মল্লিক বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকার মানুষের জীবন-জীবিকার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ। মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে সর্বস্তরের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক শিমুল কুম্ভকার বলেন, যতই দিন যাচ্ছে ততই মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। মানুষ ভোট দিতে পারছে না, অক্সিজেন পাচ্ছে না। দেশের সম্পদ পাচার হচ্ছে। একদিকে কোটিপতির সংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে দরিদ্র পরিবারের সংখ্যাও বাড়ছে। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা ছাড়া এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে না।
বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক দিলীপ রায়ের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ইকবাল কবির, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের দফতর সম্পাদক আব্দুল মমিন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মিতু সরকার, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ঢাবি শাখার সভাপতি সালমান সিদ্দিকী প্রমুখ।
এইচআর/ওএফ