ফরম পূরণ করেও পরীক্ষায় বসা অনিশ্চিত, সমন্বয়কের আশ্বাস
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা যারা একবার মানোন্নয়ন পরীক্ষা দিয়েছেন তারা ফরম পূরণ করে টাকা জমা দেওয়ার পরেও ২০২২ সালের মানোন্নয়ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না বলে নতুন একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে টাকা জমা দিয়ে ফরম পূরণ ভেরিফাই হওয়ার পরেও পরীক্ষায় বসা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থীর।
এর প্রতিবাদে ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেয় সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে আজ বেলা সাড়ে ১১টায় সাত কলেজের সমন্বয়ক অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য শিক্ষার্থীদের আশ্বাস প্রদান করলে অবস্থান কর্মসূচি পরিত্যাগ করেন শিক্ষার্থীরা।
বিজ্ঞাপন
সাত কলেজের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা অনেকেই বিগত ২০২১ সালে ২য় বর্ষের মানোন্নয়ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছি। কিন্তু আমরা অসুস্থতাসহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে আশানুরূপ ফলাফল পাইনি। তাই আমরা আবার ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত ২য় বর্ষের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী। কিন্তু ৩০ অক্টোবর ২০২৩ ঢাবি প্রকাশিত নোটিশে উল্লেখ করা আছে, ২০২১ সালে যারা একবার মানোন্নয়ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন তারা ২০২২ এর মানোন্নয়ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
অথচ ১৮ জুলাই প্রকাশিত ২০২১ সালের পরীক্ষার ঢাবি প্রকাশিত ২য় বর্ষের নোটিশে এমন কোনো নিয়ম উল্লেখ করা ছিল না, এই বছর হঠাৎ করে এই নিয়ম সংযুক্ত করা হয়েছে। উক্ত নিয়ম সম্পর্কে আমরা আগে অবগত থাকলে আমরা ২০২১ সালের পরীক্ষায় সব বিষয়ে অংশগ্রহণ করতাম। এ অবস্থায় আমাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
বিজ্ঞাপন
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হঠাৎ করে এই বছর নতুন নিয়ম সংযুক্ত করায় আমরা প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী মানোন্নয়ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারব না। অথচ সবাই ফরম পূরণ করতে পেরেছে এবং সবাই টাকা জমা দিতে পেরেছে, কলেজ কর্তৃক ফরম পূরণের ফরম ভেরিফাই করা হয়েছে। অনেক শিক্ষার্থীর এডমিট কার্ডও এসেছে, অনেক শিক্ষার্থীর এডমিট কার্ড আসেনি।
এ বিষয়ে সাত কলেজের সমন্বয়ক অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্যকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।
কেএইচ/এমএ