বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের নেতাদের ওপর হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। 

বিবৃতিতে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ক্যাম্পাসের সর্বত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বানও জানানো হয়। 

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য সাকিবুর রনি স্বাক্ষরিত এ বিবৃতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আরমানুল হক এবং সদস্য সচিব উমামা ফাতেমা বরাতে এসব জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে তার একক সম্পত্তিতে পরিণত করতে চায়। তাদের রাজনীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে তারা ক্যাম্পাসে মতো প্রকাশের স্বাধীনতা ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সহাবস্থানকে তাদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি মনে করে। ছাত্রলীগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন যৌথভাবে ক্যাম্পাসকে আওয়ামীলীগের দলীয় সম্পত্তিতে পরিণত করেছে। তাই রাজু ভাস্কর্যকে দলীয় বিজ্ঞাপনের জন্য ব্যবহারের বিরুদ্ধে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনগুলো রুখে দাঁড়ায় তখন এতটুকু বিরোধিতাও তাদের পক্ষে সহ্য করা সম্ভব হচ্ছে না। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি মেঘমল্লার বসু ও সাধারণ সম্পাদক মাঈন আহমেদসহ ৪ জনের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা ছাত্রলীগের সুশীল চেহারার আড়ালে ভয়াবহ নগ্ন সন্ত্রাসী চেহারার বহিঃপ্রকাশ।

তারা আরও বলেন, ছাত্রলীগকে ভালোবেসে ভালো করে তোলার এখন আর সময় নেই। ক্যাম্পাসকে গণতান্ত্রিক করে তোলার স্বার্থে সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকেই ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী রাজনীতিকে প্রতিহত করতে হবে। আজকের এই অগণতান্ত্রিক ও বদ্ধ পরিবেশে শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে ছাত্রলীগকে প্রতিরোধের ডাক দিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি। আমরা ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানাই।

উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মেট্রোরেলের উদ্বোধনের জন্য শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে লাগানো ছাত্রলীগের সাইনবোর্ড ভাঙার চেষ্টা করে ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা। এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাৎক্ষণিকভাবে তাদের উপর হামলা করলে অন্তত ৩০ জন আহত হয় বলে ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষ থেকে জানানো হয়। ঘটনার প্রতিবাদে সেদিন রাতেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রাজু ভাস্কর্যের মাথা ‘কালো কাপড়’ দিয়ে ঢেকে দেয় এবং ভাস্কর্যের বেদি ‘ছাত্র ইউনিয়নের সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ সম্বলিত ব্যানার লাগিয়ে দেয় যা এখনো রয়েছে। ঘটনার জেরে আজ আবারও ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ৪ জনকে মেরে আহত করার অভিযোগ উঠে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।  

কেএইচ/এমএ