রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শিক্ষক সমিতি ও শিক্ষক প্রতিনিধি অথরিটি (ডিন ও সিন্ডিকেট) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনের শিক্ষক  লাউঞ্জে রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এই ভোট চলবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।

ভোট গণনা শেষে সন্ধ্যায় শিক্ষক সমিতির ফলাফল ঘোষণা করবেন বর্তমান কমিটির কোষাধ্যক্ষ এবং ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ এম এ ছালাম ও অথরিটি নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করবেন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম।

এবারের শিক্ষক সমিতি নির্বাচনে এক হাজার ২৯ জন ভোটার ভোট প্রয়োগ করবেন এবং ডিন-সিন্ডিকেটে ৯৬৪ জন শিক্ষক ভোট প্রয়োগ করবেন।

এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলগুলো হলো- মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ (হলুদ প্যানেল) এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী শিক্ষক গ্রুপ সমর্থিত (সাদা প্যানেল)।

নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক সমিতির নির্বাচন পরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ এম এ ছালাম বলেন, সকাল ৯টা থেকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। এবারের শিক্ষক সমিতিতে ১ হাজার ২৯ জন শিক্ষক ভোট প্রয়োগ করবেন। বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। আশা করি সবাই সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি পদে হলুদ প্যানেল থেকে প্রার্থী হয়েছেন প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান। অন্যদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে সাদা প্যানেল থেকে সভাপতি পদপ্রার্থী হয়েছেন ফোকলোর বিভাগের প্রফেসর  ড. মো. আখতার হোসেন। এদিকে হলুদ প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক পদে মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ওমর ফারুক সরকার প্রার্থী হয়েছেন এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাদা প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ড. মো. সাবিরুজ্জামান (সুজা)।

এদিকে হলুদ প্যানেল থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী।

এবারের শিক্ষক সমিতিতে ১৫টি পদের বিপরীতে দুইটি প্যানেল থেকে ২৮ জন প্রার্থী এবং হলুদ প্যানেল থেকে দুইজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মোট ৩০ জন নির্বাচন করছেন।

এবারের সিন্ডিকেট সদস্য নির্বাচনে হলুদ প্যানেল থেকে মনোনীত প্রার্থীরা হলেন- প্রাধ্যক্ষ ক্যাটাগরিতে এ কে এম মাহমুদুল হক, অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে রসায়ন বিভাগের হাসান মাহমুদ, সহযোগী অধ্যাপক পদে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের খালিদ বিন ফেরদৌস, সহকারী অধ্যাপক পদে ব্যাংকিং ও ইনস্যুরেন্স বিভাগের রাকিবুল ইসলাম।

এদিকে হলুদ প্যানেল থেকে সিন্ডিকেট সদস্য নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করছেন প্রাধ্যক্ষ ক্যাটাগরিতে অধ্যাপক হাসনা হেনা, অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে মাহমুদুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে সোলাইমান চৌধুরী এবং সহকারী অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে তানজিল ভূঞা।

সাদা প্যানেল থেকে মনোনীত সিন্ডিকেট সদস্য প্রার্থীরা হলেন- অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে ড. মো. সাইফুল ইসলাম ফারুকী, সহযোগী অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে ড. মো. সামিউল ইসলাম, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটির সদস্য পদপ্রার্থী প্রফেসর ড. মো. আতিকুল ইসলাম।

ডিন নির্বাচনে হলুদ প্যানেল থেকে মনোনীত প্রার্থীরা হলেন- অধ্যাপক মিজানুর রহমান খান (কলা), অধ্যাপক আবু নাসের মো. ওয়াহিদ (আইন), অধ্যাপক নাসিমা আখতার (বিজ্ঞান), অধ্যাপক এ এস এম কামরুজ্জামান (বিজনেস স্টাডিজ), অধ্যাপক এস এম একরাম উল্লাহ (সামাজিক বিজ্ঞান), অধ্যাপক যুগল কুমার সরকার (কৃষি), অধ্যাপক বিমল কুমার প্রামাণিক (প্রকৌশল), অধ্যাপক মোস্তফা শরিফ আনোয়ার (চারুকলা), অধ্যাপক মজিবুল হক আজাদ খান (জীববিজ্ঞান), অধ্যাপক এ এইচ এম সেলিম রেজা (ভূবিজ্ঞান), অধ্যাপক আবদুস সামাদ (ফিশারিজ) ও অধ্যাপক জালাল উদ্দিন সরদার ভেটেরিনারি সায়েন্স।

এদিকে ডিন পদে সাদা প্যানেলের মনোনীত প্রার্থীরা হলেন- প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বেলাল হোসেন (কলা অনুষদ), অধ্যাপক ড. মো. কাওছার আলী (কৃষি অনুষদ), প্রফেসর ড. মো. মতিয়ার রহমান (বিজ্ঞান অনুষদ), প্রফেসর ড. মো. আনোয়ারুল কবীর ভূঁইয়া (প্রকৌশল অনুষদ), প্রফেসর ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী মন্ডল (বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ), প্রফেসর ড. মো. গোলাম মোর্তুজা (জীববিজ্ঞান অনুষদ), প্রফেসর ড. মোস্তফা কামাল আকন্দ (সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ), প্রফেসর ড. খোন্দকার ইমামুল হক (ভূ-বিজ্ঞান অনুষদ), প্রফেসর ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান মন্ডল (ফিশারিজ অনুষদ) ও প্রফেসর ড. খন্দকার মো. মোজাফফর হোসেন (ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদ)।

অন্যদিকে হলুদ প্যানেল থেকে ডিন পদে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন- অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম (সামাজিক বিজ্ঞান), অধ্যাপক রোকনুজ্জামান (প্রকৌশল), অধ্যাপক ফজলুল করিম (চারুকলা), অধ্যাপক রাইসুল ইসলাম (আইন)। সাদা প্যানেল থেকে ডিন পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রফেসর ড. মো. আমিনুল হক, প্রফেসর ড. মো. আরিফুর রহমান (কৃষি) ও প্রফেসর মোহাম্মদ আলী (চারুকলা)।

জুবায়ের জিসান/এমজেইউ