রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নির্মাণাধীন শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হলের অডিটোরিয়ামের ছাদ ধস এবং হলের যেসব কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে সেগুলোর গুণগত মান যাচাইয়ের জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে উপাচার্যের নেতৃত্বে এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তদন্ত কমিটিতে রাজশাহী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর মো. কামরুজ্জামান সরকারকে আহ্বায়ক করা হয়। কমিটির অন্য দুইজন সদস্য হলেন, গণপূর্ত বিভাগের রাজশাহীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাশেদুল ইসলাম এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. ইমরুল হাসান।

এছাড়াও আজকের ঘটনা নিয়ে আগামীকাল (৩১ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার মধ্যে প্রধান প্রকৌশলী, সাইড ইঞ্জিনিয়ার এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পৃথক পৃথকভাবে উপ-উপাচার্যের (প্রশাসন) নিকট রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

এদিকে আহত শ্রমিকদের খোরপোষসহ চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয়ভার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বহন করবে মর্মে সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এছাড়াও শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করাসহ কোন কিশোর শ্রমিককে ভবন নির্মাণের কাজে ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর মো. সুলতান-উল- ইসলাম, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) প্রফেসর মো হুমায়ুন কবীর, রেজিস্টার প্রফেসর মো. আব্দুস সালাম, ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর জাহাঙ্গীর আলম সাউথ, প্রক্টর প্রফেসর আসাবুল হক, জনসংযোগ প্রশাসক প্রফেসর প্রদীপ কুমার পান্ডে, পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক মোকছেদুল হক, ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরের প্রকৌশলীবৃন্দ এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, রাবি নির্মাণাধীন শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হলের অডিটোরিয়ামের ছাদের সাটারিং ধস হয়। এতে ৯ জন শ্রমিক আহত হয়। তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেওয়া হলে ৭ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অন্য ২ জন আশঙ্কামুক্ত বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নিশ্চিত করেছেন। রাত ৮টার দিকে উদ্ধার কাজ শেষ হয়েছে এবং ধ্বংসস্তূপে আর কেউ আটকে নেই বলে ফায়ার সার্ভিস ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিশ্চিত করেছে।

জুবায়ের জিসান/এমএ