জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে গণধর্ষণ এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক কর্তৃক যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশে করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। 

সমাবেশে অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানানো হয়। এসময় ছাত্রলীগের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো অনিরাপদ হয়ে উঠেছে বলেও দাবি করেন ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা।

আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাষ্কর্যের পাদদেশে এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। 

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে দীপক শীল বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের ঘটনা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগের শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থী নিপীড়নের ঘটনা আমাদের দেখিয়ে দিল আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের জন্য নিরাপদ নয়। স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের মদদে ছাত্রলীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে যে ভয় এবং ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে তারই ফলস্বরূপ গতকালের নৃশংস ঘটনার সাক্ষী হতে হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে। তবে আমরা বিশ্বাস করি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে নিরাপদ বানানোর জন্য লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যাবে। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীরা ধর্ষকদের আটক ও বিচারের দাবিতে আন্দোলন করছে। আমরা তাতে পূর্ণ সংহতি জ্ঞাপন করছি।

ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি বলেন, অবিলম্বে ধর্ষকদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া এই আন্দোলন সারা দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পরবে। তার মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগের ভয় এবং ত্রাসের রাজত্বের অবসান ঘটানো হবে। 

সমাবেশ সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি দীপক শীল। সাধারণ সম্পাদক মাহির শাহরিয়ার রেজার সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন— কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজোয়ান হক মুক্ত, ঢাকা মহানগর সংসদের সভাপতি শাহরিয়ার ইব্রাহিম মিমো ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুল হাসান সুজন।

কেএইচ/এনএফ