এরশাদ বিদায় নিলেও বাংলাদেশে গণতন্ত্র আসেনি। আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছর ধরে স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ পরিচালনা করে আসছে। এর থেকে মুক্তির জন্য ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্র ইউনিয়ন।

আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত ‘স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস’ স্মরণে ছাত্র-জনতার সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা এই মন্তব্য করেন। 

সমাবেশ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে প্রতি সংহতি জানানো হয়। 

সভাপতির বক্তব্যে ইব্রাহিম শাহরিয়ার মিমো বলেন, আজ আওয়ামী লীগ সরকার মজিদ খানের কুখ্যাত শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করেছে। ‘টাকা যার, শিক্ষা তার’ এই নীতিতে শিক্ষাব্যবস্থা চলছে। আমরা অনেক দিন ধরেই শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছি কিন্তু সেটা করা হচ্ছে না। বরং একটি মেরুদণ্ডহীন প্রজন্ম গড়তে উদ্ভট শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। 

ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক মাহির শাহরিয়ার রেজার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- যুব ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম নান্নু, ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা মহানগর সংসদের সাধারণ সম্পাদক লাভলী হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের যুগ্ম-আহ্বায়ক মাসুম রানা জয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সৌরভ এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক ফারহানা ইয়াসমিন চৈতী প্রমুখ। 

উল্লেখ্য, ১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী মজিদ খানের শিক্ষানীতির বিরোধিতা করে এবং স্বৈরাচার এরশাদের শাসনের বিরোধিতা করে ছাত্ররা মিছিল বের করে। সেই মিছিলে এরশাদের পুলিশ বাহিনী গুলি চালালে নিহত হন দীপালি, জয়নাল, কাঞ্চনসহ কয়েকজন। তখন থেকেই ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ‘স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে ছাত্র ইউনিয়ন।

কেএইচ/এনএফ