শিক্ষা-গবেষণায় একে অপরকে সহযোগিতা করবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি)। এ উপলক্ষ্যে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।

বুধবার (৬ মার্চ) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে এ এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে রেজিস্ট্রার ইঞ্জিনিয়ার মো. ওহিদুজ্জামান ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী এমওইউতে স্বাক্ষর করেন।

এমওইউ স্বাক্ষর শেষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেনের উপস্থিতিতে তা উভয়পক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এসময় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুস, দ্য অফিস অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক অধ্যাপক সেহরীশ খান, সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল জব্বার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক মো. তানভীর আহসানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

স্বাক্ষরিত এমওইউতে উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অফিসিয়াল স্টাফদের মধ্যে যৌথ গবেষণা, প্রকাশনা ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিময় কার্যক্রম, জনশক্তি উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, অনগ্রসর ও কম সুবিধাপ্রাপ্ত জাতিগত সম্প্রদায়ের উন্নয়ন ইত্যাদির ওপর বিশেষ জোর দিয়ে বৈজ্ঞানিক, ব্যবসায়িক, মানবিক এবং সামাজিক বিষয়গুলোতে যৌথভাবে শিক্ষা ও গবেষণার কাজ করা, একাডেমিক ও গবেষণা সুবিধার পাশাপাশি অবকাঠামো বৃদ্ধির জন্য সহায়তা প্রদান, সম্ভাব্য পারস্পরিক একাডেমিক ও গবেষণার সুযোগ এবং আগ্রহের আরও ক্ষেত্র শনাক্তকরণ, উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে তথ্য ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা, একাডেমিক ও গবেষণা বিষয়ক যৌথ সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, সম্মেলন, সংক্ষিপ্ত কোর্স এবং মিটিংয়ের আয়োজন, শিক্ষণ-শেখানো এবং গবেষণা কার্যক্রমের উন্নয়ন সম্পর্কিত তথ্য বিনিময়সহ বিভিন্ন সময় উভয়পক্ষের দ্বারা সম্মত অন্য কোনো ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়গুলোর প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে এ চুক্তি তিন বছরের জন্য বলবৎ থাকবে বলে জানানো হয়।

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, গবেষণা কার্যক্রমের জন্য আমাদের যেসব উন্নতমানের ল্যাব ও আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োজন হবে চাইলেই খুবির ল্যাব ও তাদের প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারব এ চুক্তির মাধ্যমে। শিক্ষা ও গবেষণায় এ চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এমএল/এসএসএইচ