সম্প্রতি জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শিক্ষক সমিতি।

শুক্রবার (২২ মার্চ) সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মোতাহার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. শাহেদ রানা সাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির দৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রজ্ঞাপনটি আমাদের নিকট বৈষম্যমূলক, হতাশাজনক এবং সর্বতোভাবে অগ্রহণযোগ্য হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে। এতে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। উপরন্তু, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণকে এর আওতাভুক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষকদের পেশাকে রীতিমতো অবমাননা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ। আর এই বিদ্যাপীঠসমূহে যারা শিক্ষকতায় আছেন, তারা দেশ গঠন ও জাতির মেধা বিকাশের অনন্য রূপকার। অথচ তাদেরকে এই ধরনের বৈষম্যমূলক পেনশনের আওতায় নিয়ে আসা সংক্রান্ত এই পরিকল্পনা ও প্রজ্ঞাপন আমাদের মাঝে চরম হতাশা ও অসন্তুষ্টি সৃষ্টি করেছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষাকে অত্যন্ত গুরুত্ব ও সম্মান দিয়েছিলেন। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা হয় তার হাত ধরেই। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন পিতার আদর্শের পথ ধরেই। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে, নতুন সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তিনিও গুরুত্ব দিয়ে চলেছেন বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার প্রতি। আর তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে অন্তরায় সৃষ্টি করবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য এই ধরনের বৈষম্যমূলক সার্বজনীন পেনশন পরিকল্পনা।

বিবৃতিতে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ এই প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখান করেন এবং অতি দ্রুত এটি প্রত্যাহারের দাবি জানান। অন্যথায়, তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

মেহেরব হোসেন/এএএ