রাবিতে রেলপথ অবরোধ করে গান-কবিতায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে টানা চতুর্থ দিনের মতো আন্দোলন করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা সংলগ্ন ফ্লাইওভারের নিচের রেলপথে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশে গান পরিবেশনা করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা প্রতিবাদী কবিতা আবৃত্তি করেন। টানা আড়াই ঘণ্টা রেলপথ অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেন।
এছাড়াও গতকাল প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল দাপ্তরিক কাজকর্ম বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা ‘এই কোটা সেই কোটা মারে তিলে তিলে, বাবার কোটা, দাদার কোটা আরো কোটা নিজে, চাকরিবাকরি করবো ক্যামনে আমার কোটা নাইরে। খেয়ে যায় আমার চাকরি খেয়ে যায় কোটায় মারা খেয়ে যাইরে।’
‘কোটারে তুই খাইলি আমার দেশ, চাকরিবাকরি না পাইয়া পাগল হইলাম বেশ।’
বিজ্ঞাপন
‘কোটার সংস্কার চেয়ে মনের শিকল ভেঙে আমরা লড়ে যাই, কোটা পাবো না জানি শুধু মেধার বাণী দিয়ে চাকরি কি হয়? কোটার পাখি মেধায় চলে না, মেধার পাখি গুলোর হয় না।’
‘আরে কোটা প্রথা খাইলো মাথা দেশটা খাইলো বেশ, কোটার জ্বালা বড় জ্বালা মেধাবীরা এখন শেষ। আমার চাকরি কোথায় বেশির কোটায় বুকিং আছে করা, বুকিং দিয়ে বেছে নিয়ে আমার ভাগে খা। হায় হায় কি যে করি রাস্তায় ঘুরি জুতোর তলা ক্ষয়, চাকরিবিহীন আর কতদিন বয়স পেরিয়ে যায়রে।’ ইত্যাদি গান পরিবেশনের মাধ্যমে আন্দোলন করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সিনথিয়া ইসলাম বলেন, কোনো দেশে কোটা পদ্ধতি চালু থাকার অর্থ সে দেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর দুর্বলতাকে প্রকাশ করে। তাই অযৌক্তিক কোটাগুলোকে বাতিল করে নতুনভাবে পদ্ধতির সংস্কার করতে হবে। কোটা নামক প্রহসন বাতিল করতে হবে। যতদিন রায় বাস্তবায়ন না হবে ততদিন ১৮ এর পরিপত্র জারি রাখতে হবে।
প্রতিবাদী গানের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শান্তপূর্ণভাবে বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করছি। সাধারণ মানুষের ক্ষতি যেন না হয় সেই দিকে আমাদের লক্ষ্য রয়েছে। গান পরিবেশনের মাধ্যমে আমরা আমাদের দাবি জানাচ্ছি। এছাড়াও নাটক ও আবৃত্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারের দাবি জানাচ্ছেন।
জুবায়ের জিসান/আরএআর