সরকারের পদত্যাগ দাবিতে ঢাবি সাদা দলের র্যালি ও সংহতি সমাবেশ
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমনে ছাত্র-জনতা হত্যা, নির্যাতন এবং গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদ এবং শেখ হাসিনার পদত্যাগ চেয়ে র্যালি ও সংহতি সমাবেশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।
শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বর থেকে শুরু করে শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর হয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয়।
বিজ্ঞাপন
সমাবেশে প্রাণ রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে নৃশংসতম গণহত্যা করিয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের শিকার শিশু, শিক্ষার্থী, শ্রমিক, সব শ্রেণির জনগণ। এ সরকারের চেয়ার তাদের রক্তে লাল হয়ে আছে। আপনারা জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করুন। নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, দেশের প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে রাখা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয় তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তারা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এসব ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য আন্তর্জাতিক তদন্ত প্রয়োজন। আমরা চাই জাতিসংঘের অধীনে সত্যিকারের তদন্ত হোক। বিশ্ববাসী জানুক কারা গুলি করেছে এবং কাদের নির্দেশে গুলি করা হয়েছে।
যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, গত ১৫ জুলাই থেকে সরকার তার বাহিনী দিয়ে সারা দেশে যে গণহত্যা চালিয়েছে তা স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন। পাকিস্তানি হায়েনারা জাতির মোড় পরিবর্তনকারী ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন ও ১৯৬৯ এর গণভ্যুত্থানেও এত হত্যা করেনি। অথচ এই সরকার আড়াইশ মানুষকে হত্যা করেছে। আমরা আর রক্তের হলি চাই না, আমরা স্বৈরাচার সরকারের পতন চাই।
সাদা দলের সাবেক আহ্বায়ক ও ঢাবির সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, এ হত্যাকাণ্ড শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরের হুকুমে হয়েছে। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে আমরা রাজাকারের ব্যাখ্যা শুনতে চাই। যারা এই আন্দোলনে নাই তারাই রাজাকার। সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করে লাশের সংখ্যা লুকিয়েছে। কয়েকটি ব্রিজ-স্টেশন রাষ্ট্রের সম্পদ নয়। তাজা প্রাণই রাষ্ট্রের সম্পদ। সুতরাং আর কোনো গুলি চালাবেন না। আমরা খুনির কাছে বিচার চাই না। এ সরকারের পতন ঘটাতে হবে, বাংলাদেশকে নতুন করে স্বাধীন করতে হবে।
সাদা আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. লুৎফুর রহমান বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের পর ও তার পূর্বে স্বাধীনতা যুদ্ধ ব্যতীত কোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এত মানুষ মারা যায়নি। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলন এ পর্যায়ে এসেছে সরকারের মন্ত্রীদের আচরণের জন্য। এসব হত্যার দায়, জাতীয় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির দায় এ সরকারকে নিতে হবে।
তিনি বলেন, আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে মোড় দিতে নতুন কমিটি গঠন করেছে। সমন্বয়কদের বলব কেউ আলোচনায় বসবা না। আমরা এই সরকারের পতন চাই। একটি জাতীয় সরকার গঠন করে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে।
কেএইচ/এসএসএইচ