আপাতত কাজে যোগদান করতে পারা নিয়ে শঙ্কায় আছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অবৈধ ও বিধিবহির্ভূত নিয়োগ পাওয়া ১৪১ জন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আপত্তির মুখে তাদের যোগদান আটকে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সব ধরনের নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও নিজের শেষ কর্মদিবসে বৃহস্পতিবার (৬ মে) ৯ জন শিক্ষক, ২৩ জন কর্মকর্তা, ৮৫ জন নিম্নমান সহকারী এবং ২৪ জন সহায়ক কর্মচারী পদে ১৪১ জনকে অস্থায়ী দেন বিদায়ী উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক নিয়োগপ্রাপ্তদের তালিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সন্তান, স্ত্রী ও স্বজন, ৪৩ ছাত্রলীগের সাবেক-বর্তমান নেতা-কর্মী, চারজন সাংবাদিক নেতা ও একজন সাংবাদিকের বোন রয়েছেন। ওই দিনই দাফতরিকভাবে তারা যোগদানপত্রে সইও করেছেন।

তাদের নিয়োগপত্রে উল্লেখ রয়েছে হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট ১৯৭৩-এর ১২ (৫) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নিম্নলিখিত প্রার্থীদের তাদের নামের পাশে বর্ণিত পদ ও স্থানে অস্থায়ী ভিত্তিতে (অ্যাডহক) অনধিক ছয় মাসের জন্য নিয়োগ দেওয়া হলো। এ নিয়োগ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হোক। যোগদানের দিন থেকেই এ নিয়োগ কার্যকর হবে বলেও উল্লেখ রয়েছে তাতে।

তবে এই নিয়োগ নিয়েও অনিশ্চয়তা কাটছেনা নিয়োগপ্রাপ্তদের। নাম প্রকাশ না করে নয়া নিয়োগপ্রাপ্তদের কয়েকজন জানিয়েছেন, অনেক কাটখড় পুড়িয়ে চাকরি নিয়েছেন তারা। এই চাকরি কেউ কেড়ে নিতে পারবেন না। এখন তাদের লক্ষ্য চাকরি স্থায়ী করে নেওয়া। কিন্তু মন্ত্রণালয় আলাদাভাবে এই নিয়োগ ‘অবৈধ’ ও ‘বিধিবহির্ভূত’ উল্লেখ করায় চাকরি স্থায়ী হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় থাকছেই। অনেকেই এই চাকরি নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

এ বিষয়ে উপাচার্যের দায়িত্ব পালনকারী অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই নিয়োগ অবৈধ মর্মে তাদের মতামত দিয়েছে। তদন্ত কমিটিও কাজ শুরু করছে। কাজেই রুটিন দায়িত্ব পালনকারী হিসেবে আমি তাদের কাজে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে পজিটিভ কিছু বলতে পারছি না।

অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন মানে কারও একক স্বেচ্ছাচারিতা নয়। প্ল্যানিং কমিটির চাহিদাও সেই স্বায়ত্তশাসনেরই অংশ। কাজেই ডিপার্টমেন্ট এর দায়দায়িত্ব না নিলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এনএ