প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তার নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।

বৃহস্পতিবার (২০ মে) ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমিন বারী এবং মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়।

এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতিতে বলা হয়, রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপন নথি হতে তথ্য চুরি ও অনুমতি না নিয়ে নথির ছবি তোলার অভিযোগ এনেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের দাবি অনুযায়ী উক্ত নথি স্বাস্থ্য সচিবের একান্ত সচিবের কক্ষে ছিল। রাষ্ট্রীয় গোপন নথি সিলগালা করা অবস্থায় অত্যন্ত সুরক্ষিত পরিবেশে সংরক্ষণ ও আদান-প্রদানের যে রীতি প্রচলিত রয়েছে, তা সাধারণ মানুষের অপেক্ষমাণ থাকার স্থানে উন্মুক্ত অবস্থায় রাখা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেশাগত অদক্ষতা, দায়িত্বে অবহেলা এবং রাষ্ট্রীয় গোপন নথির সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অপারগতার বিষয়টি সামনে নিয়ে আসে। রোজিনা ইসলাম বিগত দিনে তার অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনিয়ম, দুর্নীতি এবং অব্যবস্থাপনার বেশ কিছু চিত্র তুলে ধরেছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে জনমনে প্রশ্ন জাগে যে ব্যক্তির অনিয়মের গোপন তথ্য রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য বলে চালিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা হয়েছে কি-না! তার প্রতি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের আচরণ ব্যক্তিগত আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ কিনা সেই বিষয়টিও যথাযথ তদন্তের দাবি রাখে।

এতে বলা হয়, কোন ব্যক্তি ভুল-ত্রুটির ঊর্ধ্বে নয়, কাজেই দায়িত্ব পালনকালে কোনো অসঙ্গতি ধরা পড়লে তা দেশের প্রচলিত আইনের মাধ্যমে সমাধান করাই যুক্তিযুক্ত। একজন গণমাধ্যমকর্মীকে প্রচলিত নিয়মে আইনের আওতায় না নিয়ে লাঞ্ছিত, হেনস্তা ও নির্যাতন করা হয়েছে এবং বাংলাদেশের শীর্ষ রাষ্ট্রীয় প্রশাসনিক দফতরে আটক রেখে মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে যা চরমতম অপেশাদার ও অসৌজন্যমূলক আচরণের বহিঃপ্রকাশ।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমলাতন্ত্রের কিছু কর্তৃত্ববাদী কর্মকর্তার আচরণ দেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করার হীন ষড়যন্ত্র কি না তা ভেবে দেখা অত্যন্ত জরুরি। বিবৃতিতে সঠিক তদন্তসাপেক্ষে এই ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা দাবি জানানো হয়।

এইচআর/এসকেডি