সেশনজট কমানোর লক্ষ্যে অনলাইনেই একাডেমিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (২৭ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পাশাপাশি জরুরি অবস্থার কথা মাথায় রেখে ভবিষ্যতে একাডেমিক ক্যালেন্ডার চালু রাখার লক্ষ্যে জরুরি পরীক্ষা কীভাবে নেওয়া যায় সে বিষয়ে স্থায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা আগামী ৩১ মে সিন্ডিকেটে উত্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে। 

একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে দর্শন বিভাগের সভাপতি মোস্তফা নাজমুল মানসুর ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজকে একাডেমিক কাউন্সিলে অনলাইনে পরীক্ষার ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এছাড়া পরীক্ষার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা তিনটি ধাপে নেওয়া হবে। এর মধ্যে অ্যাসাইনমেন্ট, ওপেন বুক এক্সাম এবং ভাইভা। অ্যাসাইনমেন্টে ১০ নম্বর, ওপেন বুক এক্সামে ১০ নম্বর এবং ভাইভাতে ৩০ নম্বর রাখা হয়েছে। এই ৫০ নম্বরকে আবার ৭০ নম্বরে রূপান্তর করা হবে। পাশাপাশি ক্লাস অনুশীলন পরীক্ষার ২০ নম্বর এবং ক্লাসে উপস্থিতির ১০ নম্বর এই ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হবে।

তবে অনলাইন ক্লাস সমূহের ক্ষেত্রে মার্কস গণনা করার উপায় কী? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অফলাইনে ক্লাসগুলো যদি ৫০ শতাংশের বেশি হয়ে থাকে তবে সেই ৫০ শতাংশকেই ধরা হবে।

অনলাইন পরীক্ষা সংক্রান্ত কমিটির সভাপতি অজিত কুমার মজুমদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা শুধু করোনা না বরং সরকারঘোষিত যে কোনো দুর্যোগকালের কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা ব্যাপক আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্তসমূহ নিয়েছি। যা আগামী ৩১ তারিখ সিন্ডিকেট সভায় উপস্থাপন করা হবে।

প্রসঙ্গত, মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে গত বছরের ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এরপর থেকেই স্তব্ধ হয়ে পড়ে সমস্ত শিক্ষা কার্যক্রম। তবে পরবর্তীতে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার বিধান চালু করা হলেও বন্ধ থাকে সব ধরনের পরীক্ষা। এছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের কারণে দফায় দফায় বন্ধ করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে দীর্ঘ সেশনজটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে এবং সরকার ও ইউজিসির সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে অনলাইনে পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আরএআর