বাবার একাডেমিক রেকর্ড বের করলেন ঢাবি ভিসি, পেলেন চমকপ্রদ তথ্য
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পুরোনো আর্কাইভাল রেকর্ড থেকে নিজের বাবার একাডেমিক রেকর্ড বের করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। তিনি খুঁজে পেয়েছেন ১৯৬০ সালে বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগ থেকে মাস্টার্স করেছিলেন তার বাবা। শুধু তাই নয় ওই বছর মাস্টার্সে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়েছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার (৬ মে) দিবাগত রাতে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ বিষয়টি জানান।
বিজ্ঞাপন
ঢাবি উপাচার্য লেখেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরানো আর্কাইভাল রেকর্ড থেকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের সহকর্মীদের আন্তরিক সহযোগিতায় অনেক চেষ্টার পর আমার বাবার ১৯৬০ সালের বায়ো-কেমেস্ট্রি বিভাগে মাস্টার্স পরীক্ষার ফলাফল খুঁজে পেলাম - তিনি প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়েছিলেন। সন্তান হিসেবে ভালো লাগছে - আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা।”
বিজ্ঞাপন
বিষয়টি নিয়ে অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খানের পোস্টে তার শুভাকাঙ্ক্ষী এবং ছাত্র ছাত্রীরা বিভিন্ন মন্ত্যব্য করেন। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আনিসুল ইসলাম লিখেছেন, “গর্বিত পিতার যোগ্য উত্তরসূরি সন্তান। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসকে এটি বের করার জন্য কী পরিমাণ পরিশ্রম করতে হয়েছে, তা সহজেই অনুমেয়।”
অপর একজন লিখেছেন, “স্যার, বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ড গুলো ডিজিটাল আর্কাইভ করা জরুরি। আমি জানতে পেরেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক জমি বেদখল হয়ে যাওয়ার পেছনে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেকর্ড, দলিল ইত্যাদি ঠিকমত না থাকাও একটি কারণ। রেজিস্ট্রার বিল্ডিং এর সমস্ত কার্যক্রম ডিজিটালাইজেশন না করলে এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ নথি হারিয়ে যাবে।”
আব্দুল মালেক নামে আরেকজন লিখেছেন, “মাশাআল্লাহ। কি যে আনন্দ স্যার। এইটা আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি ও অমূল্য স্মৃতি,যা দেখে আপনার মন ভরে গেছে। ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট তো দূরের কথা ওই সময় কয়জন লোক ডিগ্রী পাস ছিল।”
সাদ আদনান রনি/এমটিআই