তিতুমীর কলেজে সাংবাদিক-শিক্ষার্থী মারধর : তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি
রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও দায়িত্ব পালন করা সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কলেজ প্রশাসন। এতে কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমানকে আহ্বায়ক করা হয়েছে।
সোমবার (২৬ মে) প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ছদরউদ্দিন আহমেদের সই করা এক অফিস আদেশে গঠিত এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- হিসাববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মেহের নিগার বানু, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কে. এম. সেলিম, মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান এবং ইসলামী শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক মো. মাহবুবুর রহমান। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় হামলার শিকার হন ডেইলি ক্যাম্পাসের নিজস্ব প্রতিবেদক ও কলেজ সাংবাদিক সমিতির দপ্তর সম্পাদক আমান উল্লাহ আলভি, সারাবাংলা ডটনেটের সাত কলেজ প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ মজুমদার রাব্বি, ডেইলি ক্যাম্পাসের আল-আমিন মৃধা, এশিয়ান টিভি অনলাইনের মাহমুদা আক্তার এবং রাইজিংবিডির উম্মে হাফসা।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
আহত সাংবাদিক আমান উল্লাহ আলভি অভিযোগ করেন, নায়েক নূর নামে এক শিক্ষার্থীকে ছাত্রদলের একাংশ রিকশায় তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি ভিডিও ধারণ করলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তার ওপর হামলা চালায় এবং মোবাইল কেড়ে নিয়ে ভিডিও মুছে দেয়। একইভাবে অন্য সাংবাদিকদের মোবাইল ফোনও কেড়ে নেওয়া হয় এবং হুমকি দেওয়া হয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী আলী আহমেদ বলেন, হলের সিট বরাদ্দ না হওয়ায় আমরা অধ্যক্ষের কক্ষের সামনে অবস্থান নিই। পরে ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমাম হোসেন ও সদস্য সচিব সেলিম রেজার নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা হয়।
এ ঘটনায় বনানী থানায় আমান উল্লাহ আলভি চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং ১০-১২ জন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন।
এবিষয়ে জানতে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সেক্রেটারি নাসিরুদ্দিন নাসির এবং কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমাম হোসেনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাদের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরএইচটি/এমএ