বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের গানে মডেলিং করার ঘটনায় বহিষ্কৃত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রদল নেতা শরীফ উদ্দিন সরকারের পক্ষে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় এবার স্থায়ীভাবে বহিষ্কার হলেন সংগঠনটির আরও এক নেতা।

বহিষ্কৃত ওই ছাত্রদল নেতার নাম মোজাম্মেল হোসেন অন্তু। তিনি ঢাবি ছাত্রদলের সহ মানবাধিকার সম্পাদক ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দিবাগত রাতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তার বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

মোজাম্মেল হোসেন অন্তু তার ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন, ‘শরীফ উদ্দিন সরকার ভাইয়ের সাথে ছাত্রদল স্রেফ দলীয় নোংরামির ইতর মুখটা দেখালো।’

এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ৩ জুলাই সংগঠনের দায়িত্বশীল পদে থেকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কেন স্থায়ীভাবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। তাকে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সামনে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

তবে অন্তু ব্যাখ্যা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে লেখেন, ‘কারো প্রতি ঘোরতর অন্যায় করা হইলে সেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলা যদি আমার সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণ হয় তাহলে এমন শৃঙ্খলে আমি আবদ্ধ থাকতে চাই না। আমি স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রাজপথে ছিলাম কথার স্বাধীনতা চেয়েই। এই স্বাধীনতা বিকিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই, বিবেকের আদালতে দোষী হয়ে থাকতে পারব না। যেহেতু আমি কোনো অন্যায় করিনি, তাই আমি কোনো লিখিত ব্যাখ্যা প্রদান করব না।’

এরপর বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ মানবাধিকার সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন অন্তুকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব সাংগঠনিক পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হলো।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন এবং জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মোজাম্মেল হোসেন অন্তুর সঙ্গে কোনো সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন।’

বহিষ্কারাদেশ পাওয়ার পর এক ফেসবুক পোস্টে ছাত্রদলকে উদ্দেশ করে মোজাম্মেল হোসেন অন্তু লেখেন, ‘ধন্যবাদ’।

এসএআর/এসএসএইচ