৩০ জুলাইয়ের ভাঙা কাঁচের ছবি নিয়ে ফাহমিদার ব্যাখ্যা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ঘিরে বামপন্থী সংগঠনের রিটের পর আলোচনায় এসেছেন প্রার্থী বি এম ফাহমিদা আলম। গত বছরের ৩০ জুলাইয়ের ভাঙা কাঁচের ছবি নিয়ে ওঠা বিতর্কে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি।
ফাহমিদার দাবি, ছবিটি সহিংসতার সঙ্গে যুক্ত নয়, বরং তা ছিল তার শিল্পীসুলভ প্রতিবাদের বহিঃপ্রকাশ।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, আমার শেয়ার করা ছবিটি মেট্রোরেলের নয়। ছবিটি গত বছরের মে মাসে চারুকলায় তোলা। এর ভেতর প্রকৃতির একটি রিফ্লেকশন রয়েছে। আমি শিল্পী হিসেবে ছবি তুলি, আর্ট ভালোবাসি। ভাঙা কাঁচ দিয়ে হৃদয় ভাঙাকে বুঝাতে চেয়েছি। তখন অনেক মানুষ মারা যাচ্ছিল, সেই পরিস্থিতির সঙ্গে ছবিটি যুক্তিযুক্ত ছিল। এটা আমার নিজস্ব প্রতিবাদ। ছবিটি আমার কাছে ভালো লেগেছিল তাই শেয়ার করেছি।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
প্রোফাইল লাল না করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার প্রোফাইল লাল না থাকায় আমাকে বিরোধী ভাবা হয়েছে। এটি এক ধরনের সোশ্যাল ফ্যাসিবাদ। প্রোফাইল লাল না করলে কেউ আন্দোলনের বিপক্ষে ধরে নেওয়া একধরনের মূর্খতা। ফ্যাসিবাদের আরেকটা রূপ।
রিট প্রসঙ্গে ফাহমিদা বলেন, এস এম ফরহাদ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেন না। তিনি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের পদে ছিলেন। তার কোনো পদত্যাগের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তিনি স্পষ্ট করেননি পদত্যাগ করেছেন কিনা। সেই জায়গা থেকেই রিটটি করা হয়েছে।
এর আগে ডাকসু নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন বামপন্থী সংগঠনগুলোর প্যানেল অপরাজেয় ৭১ ও অদম্য ২৪-এর প্রার্থী বি এম ফাহমিদা আলম। গত রোববার (৩১ আগস্ট) বিচারপতি এস কে তাহসিন আলী ও হাবিবুল গণির বেঞ্চে এ রিট দাখিল হয়। এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাহমিদার গত বছরের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
গত বছর জুলাইয়ের সহিংসতায় নিহত হন শত শত মানুষ। আহতও হন অগণিত। সে সময় সরকার ৩০ জুলাইকে ‘রাষ্ট্রীয় শোক দিবস’ ঘোষণা করলেও আন্দোলনরত ছাত্ররা সেটি প্রত্যাখ্যান করে অনলাইনে লাল ব্যানার, প্রোফাইল রঙিন ছবি ও প্রতিবাদী পোস্টের মাধ্যমে কর্মসূচি পালন করে। কোটি মানুষ এদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের প্রোফাইল রাঙিয়ে তোলে বিপ্লবের লাল রঙে।
কিন্তু ফাহমিদা তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেদিন ভাঙা কাঁচের একটি ছবি শেয়ার করেন। তিনি প্রোফাইল লাল করার কর্মসূচিতেও অংশ নেননি। এ নিয়ে অনেকে অভিযোগ করেন, তার ছবিটি নাকি মিরপুর-১০ মেট্রো স্টেশনে ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত।
এসএআর/এমএসএ