রবিন হাসান রকি

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা ছাত্রদলের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক রবিন হাসান রকিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি করা হয়েছে। এতে সংগঠনটির স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ জুন) সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসান হাবিব খোকা এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ বিন আহমেদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে রবিন হাসান রকিকে সভাপতি এবং হাবিবুর রহমান হাবিবকে সাধারণ সম্পাদক করে আগামী এক বছরের জন্য বেলকুচি উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।

এর আগে, ২০১৪ সালের ২৮ মে ছাত্রদলের সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার তৎকালীন আহ্বায়ক এবং যুগ্ম আহ্বায়ক স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, আতিকুল আমিন রিজনকে সভাপতি এবং খাইরুল ইসলাম আইয়ুবকে সাধারণ সম্পাদক করে উপজেলা ছাত্রদলের কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। ঐ কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পান রবিন হাসান রকি।

পদ বঞ্চিতরা জানান, ২০০৪ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে বেলকুচি উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এরপর আর কোন সম্মেলন হয়নি। ২০১৮ সালে ওই কমিটি বিলুপ্ত হওয়ায় তিন বছর কমিটিবিহীন ছিল উপজেলা ছাত্রলীগ। ১৭ বছর পর হওয়া এই কমিটিতে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া রবিন হাসান রকি একজন ‘অনুপ্রবেশকারী’।

বিষয়টি অস্বীকার করে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসান হাবিব খোকা ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিষয়টি সঠিক নয়। দীর্ঘ ১৭ বছর বেলকুচি উপজেলার কমিটি ছিল না। আমরা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রনেতা, আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলে তারপরই এ কমিটি অনুমোদন দিয়েছি। তিনি (রবিন) জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন এবং নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ছিলেন। এটি একটি গুজব।

এ বিষয়ে রবিন হাসান রকি বলেন, আমি কখনও ছাত্রদলের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। ছাত্রদলের প্যাডে কমিটিতে আমার যে নাম দেখানো হচ্ছে, তা একটি ভুয়া ও সাজানো নকল করা কাগজ। মূলত আমার বিরুদ্ধে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ঢাকা পোস্টকে বলেন, এটা ভুয়া, এটি মিথ্যা। আমরা খোঁজ-খবর নিয়েই কমিটি দিয়েছি। তার (রবিন) বাবা যুবলীগের ইউনিয়ন সভাপতি ছিলেন। এ ছাড়া গত নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যও ছিলেন। কেউ ব্যক্তি স্বার্থ প্রণোদিত হয়ে মিথ্যা খবর ছড়িয়ে দিয়েছে

এইচআর/আরএইচ