নোবিপ্রবিতে রুমমেটকে মারধর করায় হল থেকে শিক্ষার্থী বহিষ্কার
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) রুমমেটকে মারধরের ঘটনায় এক শিক্ষার্থীকে আবাসিক হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম মোহাম্মদ আবু তাহের।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ভাষা শহীদ আবদুস সালাম হলের প্রভোস্ট মো. ফরিদ দেওয়ান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। মোহাম্মদ আবু তাহের নোবিপ্রবির মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
বিজ্ঞাপন
অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়, একই বিভাগের শিক্ষার্থী আবু তাহের গত ১৯ আগস্ট তার রুমমেটকে দ্বিতীয়বারের মতো মারধর ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। এ ঘটনায় তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হলে তিনি অভিযোগ স্বীকার করে ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ আর করবেন না বলে লিখিত প্রতিশ্রুতি দেন। তবে ভুক্তভোগীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন এবং অভিযোগ যাচাই করে হল প্রশাসন ঘটনাটিকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে।
ইয়াসিন নামের এক শিক্ষার্থী ঢাকা পোস্টকে বলেন, সালাম হলে আবু তাহের তার রুমমেটকে দুবার মারধর করে রক্তাক্ত করেন। একই ব্যাচের শিক্ষার্থী পবিত্র ও তিশাকে মানসিকভাবে হেনস্তা করায় তারা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়তে বাধ্য হন। একাডেমিক বিভাগের রাজনীতিতে প্রভাব খাটিয়ে ছাত্রলীগ নেত্রী মিমকে পুনর্বাসনের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়াও প্রায়ই সিনিয়রদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে তাহেরের বিরুদ্ধে। এসব বিষয় প্রশাসনের নজরে আনা প্রয়োজন।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে জানতে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আবু তাহেরকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ না করায় তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ভাষা শহীদ আবদুস সালাম হলের প্রভোস্ট মো. ফরিদ দেওয়ান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, অন্য শিক্ষার্থীকে শারীরিক বা মানসিকভাবে নির্যাতন করলে তার হলের আসন বাতিল করা হয় এবং ভবিষ্যতে আসন পাওয়ার যোগ্যতাও হারায়। তাই আবু তাহেরকে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং আগামী সাত দিনের মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আবু তাহের তার অপরাধ স্বীকার করে অনুশোচনা প্রকাশ করায় বিষয়টি শৃঙ্খলা বোর্ডে পাঠানো হয়নি। যদি পাঠানো হতো, তাহলে আরও কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হতো। আমি সকল শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করবো, তারা যেন সহপাঠীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন-কানুন মেনে চলে।
হাসিব আল আমিন/এআরবি