ভূমিকম্পে নোবিপ্রবির আবাসিক হলে ফাটল, খসে পড়েছে পলেস্তারা
ভূমিকম্পে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ভাষা শহীদ আবদুস সালাম হলের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে এবং পলেস্তারা খসে পড়েছে। এতে আবাসিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে ভূমিকম্পের সময় এসব ফাটল ও পলেস্তারা খসে পড়ার ঘটনা ঘটে।
ভূমিকম্পের পর সরেজমিনে দেখা যায়, হলের দেয়াল ও সিঁড়ির বেশ কিছু জায়গায় নতুন ফাটল দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি চতুর্থ তলার ওয়াশরুমের দরজার বেশ কয়েকটি অংশে পলেস্তারা খসে পড়েছে। বিষয়টি নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই শিক্ষার্থীরা হল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান।
বিজ্ঞাপন
নাইমুর রহমান নামের এক আবাসিক শিক্ষার্থী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভূমিকম্পের সময় আমি হলে ছিলাম। হঠাৎ ভবনটি প্রায় ১০ সেকেন্ড ধরে তীব্রভাবে কাঁপতে থাকে। মুহূর্তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আমি ও বন্ধুরা দ্রুত সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে আসি। অনেকেই চিৎকার করছিল। নিচে নেমে সবার মুখে একই ধরনের ভয় দেখেছি। ভবনটি এতটাই কাঁপছিল যে মনে হচ্ছিল বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। পরে দেয়ালসহ বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখি, যা আমাদের উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দেয়।
তাহমিদুর রহমান ফাহিম নামের আরেক শিক্ষার্থী ঢাকা পোস্টকে বলেন, এর আগের ভূমিকম্পেও এমন ফাটল দেখা গিয়েছিল। তবে এবার তুলনামূলকভাবে ক্ষতি কম হয়েছে। হলটি পুরনো ও জরাজীর্ণ হওয়ায় আমরা বুঝতে পারি সঠিক পরিকল্পনার অভাবেই এসব সমস্যা হচ্ছে। ভূমিকম্প শুরু হতেই সবাই দ্রুত হলে থেকে বের হয়ে আসে। হল ভবনের এসব ক্ষতি দ্রুত মেরামত না হলে বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। আমরা চাই প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিক।
বিজ্ঞাপন
ভাষা শহীদ আবদুস সালাম হলের প্রভোস্ট মো. ফরিদ দেওয়ান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগেই হলের বি ব্লকের ওয়াশরুমের দরজার পাশে পলেস্তারা খসে পড়েছিল। তবে আজকের ভূমিকম্পে তা আরও দৃশ্যমান হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সিঁড়িতেও আগে ফাটল ছিল, যা আজ আরও স্পষ্ট হয়েছে। বিষয়গুলো পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যাচাই করা হচ্ছে। দ্রুতই প্রকৌশলী দলকে দিয়ে হলে বিস্তারিত পরিদর্শন করানো হবে এবং প্রয়োজনীয় মেরামত ও সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাসিব আল আমিন/এআরবি