খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর-টি পিসিআর মেশিনে করোনার নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজের করোনা ইউনিট থেকে আনা নমুনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোমিক্স ল্যাবে স্থাপিত মেশিনে পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রতিদিন এখানে ৯০টির বেশি নমুনা পরীক্ষা করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এদিন সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস খুলনা মেডিকেল কলেজ থেকে আগত প্রতিনিধিদের ল্যাবে স্বাগত জানান। এ সময় সেখানে মেডিকেল কলেজের পক্ষ থেকে করোনার নমুনা পরীক্ষার সংক্রান্ত একটিপত্র, নমুনা ও কিট হস্তান্তর করা হয়।

পরে বিশ্বদ্যিালয়ের কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের পরিচালক প্রফেসর ড. আশীষ কুমার দাস ও যুগ্ম পরিচালক ফোকাল পয়েন্ট ড. মোহাম্মদ কাজী দিদারুল ইসলাম ল্যাবের সায়েন্টিফিক অফিসার ও টেকনিশিয়ানদের নমুনা বুঝিয়ে দেন।

এরপরই সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে উভয় প্রতিষ্ঠানের ৮ জন টেকনিশিয়ান প্রথমদিন যৌথভাবে নমুনা পরীক্ষা শুরু করেন। নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সফটওয়্যারে পাঠানো হবে।

এদিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন নানা প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে তার দায়িত্ব গ্রহণের স্বল্প সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর-টি পিসিআর মেশিনে করোনার নমুনা পরীক্ষা শুরু হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। 

তিনি বলেন, করোনা মহামারির এই ক্রান্তিলগ্নে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দেশ ও জাতির পাশে দাঁড়াতে পেরে গর্বিত। তিনি ল্যাব চালুর ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। 

খুলনা মেডিকেল কলেজের (খুমেক) কর্তৃপক্ষ বুধবার (৩০ জুন) নমুনা পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখেন আরটি পিসিআর ল্যাব ‘দূষিত’ হয়েছে। ফলে বন্ধ করা হয় করোনার নমুনা পরীক্ষা। চালু হওয়ার ১৫ মাসের মাথায় প্রথমবারের মতো বৃহস্পতিবার থেকে তিনদিনের জন্য বন্ধ থাকছে এই ল্যাব।

তবে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে থাকা রোগীদের মধ্যে যাদের নমুনা পরীক্ষার প্রয়োজন হবে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করা হবে। বৃহস্পতিবার থেকে ল্যাবটির কার্যক্রম বন্ধ করে দূষণমুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

খুমেক হাসপাতালের করোনা প্রতিরোধ ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনাবিষয়ক কমিটির সভাপতি এবং খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ল্যাবটি বন্ধ থাকলেও আগে থেকেই মজুত থাকা প্রায় ২ হাজার নমুনা ঢাকায় পাঠিয়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।

মোহাম্মদ মিলন/এমএসআর