ঢাবির আইইআরের নতুন পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল হালিম
অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হালিম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) নতুন পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হালিম। ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান তাকে এ পদে নিয়োগ দিয়েছেন।
শনিবার (৩ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হালিম গত ৩০ জুন ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
বিজ্ঞাপন
শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবে অধ্যাপক ড. আবদুল মালেক ৩০ জুন অবসর নিয়েছেন। আগামী এক বছর তিনি এলপিআরে থাকবেন।
অধ্যাপক আব্দুল হালিম ১৯৯৭ সালে ঢাবির শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি আইসিসিআর স্কলারশিপ নিয়ে ভারতের বারোদা এমএস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি একজন এডুকেশননার কনসালটেন্ট হিসেবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও দেশীয় সংস্থায় কাজ করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- এনসিটিবি, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ও প্লান বাংলাদেশ ইত্যাদি।
বিজ্ঞাপন
দায়িত্ব গ্রহণ ও ইনস্টিটিউটের পরিকল্পনার বিষয়ে অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হালিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বর্তমান সময় আমাদের সবার জন্য চ্যালেঞ্জের। করোনার কারণে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন স্তিমিত হয়ে আছে। এই স্থবিরতা কাটাতে অতি দ্রুত শিক্ষার্থীদের স্থগিত হওয়া পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করব হোক সেটা অনলাইনে কিংবা অফলাইনে। আর এর জন্য শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী তাদের সাহায্য করা হবে। এছাড়াও আইইআরের শিক্ষাক্রমকে আন্তর্জাতিক মানের করার জন্য যে কাজ শুরু হয়েছে সেটাকে অতিদ্রুত শেষ করার ব্যবস্থা করব।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষা ও গবেষণার ইনস্টিটিউটের শুধু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিই নয় বরং সমগ্র জাতির জন্য একটা দায়বদ্ধতা আছে। তাই আমার একটি পরিকল্পনা আছে, প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য প্যারেন্টিং এডুকেশনের ব্যবস্থা করা। যাতে তারা করোনা সংকট কাটিয়ে উঠার জন্য মোটিভেশন পায়। আর এর জন্য যদি সরকার বা অন্য কোনো সংস্থা আমাদের সাহায্য করলে ভালো, নয়তো আমরা নিজস্ব তহবিলেই এর ব্যবস্থা করব।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি ও সামনে আইইআরের সুবর্ণজয়ন্তীকে সামনে রেখে আমাদের কিছু পরিকল্পনা আছে। ঢাবি তথা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় এই ইনিস্টিটিউট যাতে ভূমিকা রাখতে পারে, সেভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করাই আমাদের লক্ষ্য।
এইচআর/ওএফ