বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিবের অনন্য অবদান ও জীবন দর্শন অনুসরণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) একটি সেন্টার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

রোববার (৮ আগস্ট) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া এক বার্তায় তিনি এ উদ্যোগের কথা জানান।

শ্রদ্ধা জানিয়ে দেওয়া বার্তায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, বঙ্গমাতার অনন্য অবদান ও জীবন দর্শন অনুসরণ করে সমাজে নারী অধিকার, নেতৃত্ব, লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা সেন্টার ফর উইম্যান, জেন্ডার অ্যান্ড পলিসি স্টাডিজ’ শীর্ষক একটি সেন্টার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মুজিব জন্মশতবর্ষ, মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শতবর্ষপূর্তিতে শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবকে উপজীব্য করে এ সেন্টার অধ্যয়ন ও গবেষণার ক্ষেত্র তৈরিতে একটি মাইলফলক হিসেবে গণ্য হবে বলে উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উপাচার্য আরও বলেন, ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব। এ মহীয়সী নারী ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী। একজন সাবলীল, স্নেহময়ী ও পরিশ্রমী বাঙালি নারী ছিলেন তিনি। একটি সুপ্ত প্রতিভা ও জীবন দর্শন তার মধ্যে লুকায়িত ছিল, যার বহিঃপ্রকাশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছাত্র ও যুব রাজনৈতিক জীবনে ঘটলেও তা অধিকতর দৃশ্যমান রূপ পায় বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের কঠিনতম সময়ে বিশেষ করে ষাট ও সত্তরের দশকের প্রথমার্ধে।

উপাচার্য বঙ্গমাতার অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে বঙ্গবন্ধু হিসেবে গড়ে ওঠা, রাজনৈতিক সংগঠনকে সুসংগঠিত রাখা এবং ক্রান্তিকালে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব পর্দার আড়ালে থেকে সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সব সংগ্রাম-আন্দোলনের প্রেরণা ও আত্মবিশ্বাসের উৎস। এজন্য মহীয়সী নারী হিসেবে বঙ্গমাতা বাঙালির হৃদয়ে অপরিসীম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় চিরভাস্বর হয়ে থাকবেন।

এইচআর/এসএসএইচ