তালা দেওয়ার পাশাপাশি পোস্টারও সাঁটিয়ে দিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা

ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রদ্রোহিতা, মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদকে উসকে দেওয়ার অভিযোগ এনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলের কক্ষে তালা দিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

বুধবার শহীদ মিনারে ছাত্রলীগের কালো পতাকা মিছিল ও সমাবেশ শেষে সংগঠনটির বিক্ষুব্ধ কয়েকজন নেতাকর্মী এক পর্যায়ে কাজী মোতাহার হোসেন ভবনে আইন বিভাগে এ অধ্যাপকের কক্ষে তালা লাগিয়ে দেন তারা। পাশাপাশি কয়েকটি পোস্টারও সাঁটিয়ে দিয়েছেন তারা।

পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘আইএসআইর পেইড এজেন্ট আসিফ নজরুলের বিচার চাই’, ‘জামাত-শিবিরের দালাল আসিফ নজরুলের বিচার চাই’, ‘তালেবানের দালাল আসিফ নজরুলের বিচার চাই’ এবং ‘রাষ্ট্রদ্রোহী আসিফ নজরুলের বিচার চাই’।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, অধ্যাপক আসিফ নজরুল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, সেটা রাষ্ট্রদোহী এবং প্রকাশ্যে জঙ্গিবাদকে উসকে দেওয়ার মতো। তার স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে দেশের তরুণ সমাজ বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে তালা লাগিয়েছেন বলে আমি শুনেছি। তাতে ছাত্রলীগ সংহতি প্রকাশ করছে। অবিলম্বে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান ছাত্রলীগের এ নেতা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, তালা লাগানোর বিষয়ে আমি শুনেছি। প্রক্টরিয়াল মোবাইল টিম ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কে বা কারা তালা লাগিয়েছেন, তা আমরা এখনো জানি না। তবে এ ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, আমার কক্ষে তালা লাগানোর বিষয়টি আমি জেনেছি। তবে কে বা কারা লাগিয়েছে, সে বিষয়ে আমি জানি না।

আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর গত ১৬ আগস্ট অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লেখেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন হলে কাবুল বিমানবন্দর ধরনের দৃশ্য বাংলাদেশেও হতে পারে।’ মূলত এ স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে তালা লাগানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

এইচআর/আরএইচ