নরসিংদীর মনোহরদীতে বিএনপির অক্সিজেন সিলিন্ডার বিতরণ অনুষ্ঠানে হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বিরুদ্ধে। এতে দুই সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার মনোহরদী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন একটি রেস্টুরেন্টে এ হামলার ঘটনা ঘটে। 

আহতরা হলেন- চ্যানেল আইয়ের নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি সুমন রায় এবং যমুনা টেলিভিশনের নরসিংদীর ক্যামেরা সহকারী ইসমাইল মিয়াসহ বিএনপির আরও ১০ নেতাকর্মী। এ সময় চ্যানেল আই ও যমুনা টেলিভিশনের ক্যামেরা ভাঙচুর এবং মেমোরি কার্ড ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে মনোহরদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি রেস্টুরেন্টে অক্সিজেন সিলিন্ডার বিতরণের আয়োজন করে মনোহরদী উপজেলা বিএনপি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সস্পাদক আবদুল কাদের ভূঞা জুয়েল। দুপুরে ১০-১৫ জনের একটি দল অনুষ্ঠানে অতর্কিত হামলা চালায়। 

এ সময় বিএনপি নেতার্মীদের পাশাপাশি সাংবাদিকদের ওপরও চড়াও হয় তারা। রেস্টুরেন্টের রান্নাঘরে পালিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি দুই সাংবাদিকের। সেখানে গিয়ে চ্যালেই আইয়ের নরসিংদী প্রতিনিধি সুমন রায় ও যমুনা টেলিভিশনের নরসিংদীর ক্যামেরা সহকারী ইসমাইল মিয়াকে মারধর করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানেও তারা হামলা করে ক্যামেরা ভাঙচুর করে এবং মেমোরি কার্ড ছিনিয়ে নেয়। 

বিএনপি নেতাকর্মীদের দাবি- হামলাকারীরা সবাই মনোহরদী উপজেলা ছাত্রলীগ,  যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সক্রিয় কর্মী ।

স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঞা জুয়েল বলেন , যারা হামলা করেছে তারা সবাই মনোহরদী উপজেলা ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও যুবলীগের কর্মী। তারা বিএনপি নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাংবাদিকদের ওপরেও হামলা করেছে। 

নরসিংদী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার শামস কেনেডি বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল কবিরের নেতৃত্বে এ হামলা করা হয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাংবাদিকরাও আহত হন। 

চ্যানেল আইয়ের নরসিংদী প্রতিনিধি সুমন রায় বলেন, তারা ছাত্রলীগ নাকি যুবলীগ তা জানি না। হামলার সময় রেস্টুরেন্টের রান্নাঘরের ভেতরে ঢুকেও শেষ রক্ষা হয়নি আমাদের। লোহার পাইপ ও রড দিয়ে আক্রমণ করেছে তারা। প্রাথমিকভাবে আমাদের মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে এখন নরসিংদী সদর হাসপাতালে আছি। 

মনোহরদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুই জন সাংবাদিক অতর্কিত হামলায় আহত হয়েছেন। কে বা কারা এই কাজ করেছে তা খতিয়ে দেখা হবে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা করেনি কেউ। 

রাকিবুল ইসলাম/আরএআর