সর্বত্র মাতৃভাষাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার শিক্ষা দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বলেছেন, বঙ্গবন্ধু মাতৃভাষায় কথা বলাকে সবসময় গুরুত্ব দিয়েছেন। মাতৃভাষার প্রতি তার অগাধ প্রেম ছিল। তাই ভাষার জন্য আন্দোলন সংগ্রামের পাশাপাশি মাতৃভাষাকে সম্মান জানিয়ে সে ভাষায় কথা বলতে উদ্বুদ্ধ করেছেন।
শনিবার (২১ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টির উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল মতিন ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ‘বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ভাবনা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এসব বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
অধ্যাপক আতিউর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা নিয়ে ছোটবেলা থেকেই ভেবেছেন। নানা আন্দোলনের পাশাপাশি শিক্ষা আন্দোলনেও তিনি যুক্ত ছিলেন। তার সব ভাবনার মূলে ছিলে তরুণ প্রজন্ম। শিক্ষিত তরুণদের কেন্দ্রে রেখেই তিনি রাজনীতিকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধু জাতীয় ভাষায় কথা বলার গুরুত্ব দিয়েছেন সবসময়।
শিক্ষার্থী ও কর্মক্ষেত্রে সংযোগ স্থাপনে বিশ্ববিদ্যালয়কে ধাত্রীর ভূমিকা নিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষার্থী ও কর্মক্ষেত্রে সংযোগ স্থাপনে বিশ্ববিদ্যালয়কে ধাত্রীর ভূমিকা নিতে হবে। এ জন্য উদ্ভাবন, উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও গবেষণায় দরকার হবে বাড়তি মনোযোগ। ইন্টার্নশিপ ও ইমার্সন প্রোগ্রাম জোরদার করতে হবে। ইনোভেশন ল্যাব স্থাপন করে উদ্ভাবনী উদ্যোগকে উৎসাহিত করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর সকল কর্মকাণ্ডে লক্ষ্যবস্তু ছিল তরুণ সমাজ। দেশে যেভাবে শিক্ষার বিস্তার ঘটেছে সেভাবে মানের উন্নতি ঘটছে না। জাতীয় পাঠ্যপুস্তক নিয়ে, বাংলা একাডেমি বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় তেমন কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এটার জন্য আমরাই দায়ী। বঙ্গবন্ধুর ছিল সততা, নিষ্ঠা এবং সাহস তাই তিনি হয়েছেন জাতির পিতা, বাংলার স্বাধীনতার নায়ক।
অধ্যাপক ড. ফখরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, আলোচক হিসেবে ছিলেন শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মালেক। তাছাড়া অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের পরিচালক অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির।
এইচআর/এসকেডি