আমরণ অনশনে খুবির দুই শিক্ষার্থী মোবারক হোসেন নোমান ও ইমামুল ইসলাম

বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) দুই শিক্ষার্থী। রোববার (১৭ জানুয়ারি) রাতে খুবির প্রশাসনিক ভবনের সামনে তারা আমরণ অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে।

ওই দুই শিক্ষার্থী হলেন, বাংলা ডিসিপ্লিনের মোহাম্মদ মোবারক হোসেন নোমান (১৮ ব্যাচ) এবং ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের ইমামুল ইসলাম (১৭ ব্যাচ)। 

নোমান ও  ইমামুল অভিযোগ করে জানান, খুবি শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা আন্দোলনে যুক্ত থাকায় অসদাচরণের অভিযোগে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। শনিবার প্রেস কনফারেন্স করে খুবি প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছিলাম। কিন্তু প্রশাসন এই সময়ের মধ্যে শাস্তি প্রত্যাহার করেনি। তাই আমরা এই অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছি।

খুবির ছাত্রবিষয়ক পরিচালক ও শৃঙ্খলা বোর্ডের সদস্য সচিব প্রফেসর মো. শরীফ হাসান লিমন বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের জানিয়েছি তদন্ত ও একাডেমিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করার দায়ে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দিয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এখনও আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে তাদের একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। তারা চিঠির কোনো উত্তর দেয়নি। চিঠির উত্তরের পর শৃঙ্খলা কমিটির পরবর্তী মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হবে তাদের শাস্তি কমবে নাকি বহাল থাকবে। তবে এর আগেই তারা কেন এমন কর্মসূচি দিলো জানি না।

অনশনে থাকা শিক্ষার্থীরা জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও দেশবাসীকে সাক্ষী রেখে আমরা আমরণ কর্মসূচি শুরু করেছি। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অন্যায্য শাস্তি প্রত্যাহার না করা হলে আরও কঠোর কর্মসূচি নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর শিক্ষার্থীরা ৫ দফা দাবি সংক্রান্ত স্মারকলিপি ছাত্রবিষয়ক পরিচালকের মাধ্যমে উপাচার্যের কাছে পেশ করে। তাতেও কোনো সমাধান না পেয়ে গেল বছরের ১ জানুয়ারি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। কিছুদিন পর আন্দোলন চলাকালে দুজন শিক্ষকের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে খুবি প্রশাসন শিক্ষার্থীদের বক্তব্য জানতে চায়।

এরপর তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন শেষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের সঙ্গে অসদাচারণসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ড ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ইমামুল ইসলামকে দুই বছরের জন্য এবং বাংলা ডিসিপ্লিনের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী মোবারক হোসেন নোমানকে এক বছরের জন্য শিক্ষাকার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করে। 

এসপি