বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ছুরিকাঘাতে আহত শিক্ষার্থী পরাগ মাহমুদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করেছেন রংপুর মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক।

বেরোবি সহকারী প্রক্টর সৈয়দ আনোয়ারুল আজিম চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বলেন, পরাগের হাতে যে চোট লেগেছে এতে ভাজকুলার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই তার সার্জারি রংপুরে করা সম্ভব না।

তিনি আরও বলেন, এরপর ভিসি স্যার ও পরাগের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তাকে আকাশপথে নিয়ে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যাবস্থা করা হয়েছে। দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে তাকে বিমানযোগে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।

ছুরিকাঘাতে আহত হওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মী ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

পরাগের সহপাঠী লাবণি আক্তার বলেন, একই দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর ওপর হামলা একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। এর সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

এছাড়াও ছাত্র-শিক্ষককে হামলার প্রতিবাদে আজ (শুক্রবার) বিকাল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (০৯ সেপ্টেম্বর) রাত আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নং গেটের সামনে পরাগ মাহমুদ আহত হয় এবং সকালে জগিং করতে বের হয়ে রংপুরের লালবাগে শিক্ষক মনিরুজ্জামান দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয়।

জানা যায়, শিক্ষক মনিরুজ্জামান সকালে জগিং করতে বের হলে কতিপয় অপরিচিত যুবক দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায়। এতে তিনি গুরুতরভাবে আহত হন। তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এর আগে পরাগ মাহমুদ নিজের ছাত্রাবাস থেকে সরদারপাড়ায় বন্ধুর ছাত্রাবাসে যাচ্ছিলেন। পথে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নং গেটের সামনে বিপরীত দিক থেকে আসা তিন যুবক তার পথরোধ করেন। তারপর তার কাছে থাকা সবকিছু দিয়ে দিতে বলেন।

পরাগ অপারগতা জানালে এক যুবক তার পকেট থেকে চাপাতি বের করে পরাগের হাতে কোপ দেয়। তার কাছে থাকা মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে সুব্রত ঘোষ নামে এক শিক্ষার্থীর সহযোগিতায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।  

প্রক্টর গোলাম রব্বানী বলেন, শিক্ষার্থী ও শিক্ষক আহত হওয়ার খবর শুনে অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে দেই। পরে তাদের দেখে আসি। এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের জন্য রংপুর পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলব।

এমএসআর