হেফাজত নেতা মামুনুল হকের সমালোচনা করার পর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার ঝুমন দাসের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে ঝুমন দাসের মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনে বিজয় একাত্তর হল সংসদের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক আবু ইউনূস বলেন, সাত বার আবেদনের পরও জামিন পাননি ঝুমন দাস। অথচ সুনামগঞ্জের হিন্দু পল্লীতে যারা হামলা করেছে তাদের অনেকেই জামিন নিয়ে বাইরে চলাফেরা করছে। এটি আমাদের জন্য অশনি সংকেত। সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান, ধর্ম অবমাননা সংক্রান্ত আইনের অপব্যবহার রোধে ধর্ম অবমাননার সুস্পষ্ট সংজ্ঞা যেন নির্ধারণ করা হয়। এতে বাংলাদেশের সকল ধর্মের অনুসারীরা অন্যায়ের শিকার হওয়া থেকে রক্ষা পাবে।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাহিত্য সম্পাদক এসএম রাকিব সিরাজি বলেন, ঝুমন দাস যে চিন্তা প্রকাশ করেছে সেটি স্বাধীন বাংলাদেশের মুক্তবুদ্ধি চর্চা এবং প্রগতিশীলতার পক্ষে। এটি কখনো অন্যায় হতে পারে না। তাকে জামিন না দেওয়াটাই বরং অন্যায়। আমরা অবিলম্বে তারা মুক্তি চাই।

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ হল সংসদের সাবেক সহসভাপতি হোসাইন আহমেদ বলেন, কোনো অদৃশ্য শক্তির চাপে হয়ত ঝুমন দাসকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না। দশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ থেকে জঙ্গি নির্মূল হলেও তাদের প্রেতাত্মারা এখনো রয়ে গেছে। তারা উসকানি দিয়ে দেশে অপ্রীতিকর অবস্থার সৃষ্টি করতে চায়। অবিলম্বে ঝুমনকে মুক্তি না দেওয়া হলে আমরা আবারও রাজপথে নামব। ধর্মীয় উগ্রবাদকে লাল কার্ড দেখাব।

উল্লেখ্য, ফেসবুকে হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হককে নিয়ে ‘আপত্তিকর পোস্ট’ দিয়েছেন- এমন অভিযোগে গত ১৭ মার্চ শাল্লার নোয়াগাঁওয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনার জেরে ঝুমন দাসের বিরুদ্ধে শাল্লা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। সেই মামলায় ৫২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাদের অনেকেই জামিনে মুক্তি পেলেও এখনও বন্দি এই যুবক।

এইচআর/এসকেডি