অন্তত এক ডোজ টিকা নেওয়ার শর্তে আগামী ৫ অক্টোবর অনার্স চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হল খোলার সুপারিশ করেছে প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটি ও একাডেমিক কাউন্সিল। তবে এ সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে সব বর্ষের জন্য সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে হল খোলার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে ‘হল-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলো আন্দোলন’ প্ল্যাটফর্মের প্রধান সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ৫ অক্টোবর থেকে ৪র্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের জন্য হল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরীক্ষা শেষে তাদের হল ছেড়ে দিতে হবে, এরপর ধীরে ধীরে অন্যান্য সেশনের শিক্ষার্থীরা উঠতে পারবে। আমরা এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি করছি।

সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে খোলার দাবি জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেসব শিক্ষার্থী এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে মেসে অবস্থান করে পড়ালেখা করছে তাদের জন্য মাসের প্রথম ৫ দিন মেসে থাকা পুরো মাস থাকার-ই সমতুল্য। এ জন্য তাদের পুরো মাসের ভাড়া বহন করতে হবে। এতে শিক্ষার্থীদের উপর অতিরিক্ত আর্থিক চাপ সৃষ্টি হবে। এ জন্য শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আমরা বলতে চাই, চলমান সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে হল খুলে দেওয়া হোক।

সকল বর্ষের জন্য হল খোলার দাবি জানিয়ে বলা হয়, অধিকাংশ শিক্ষার্থীর টিকা কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনো অন্তরায় নেই। করোনা অতিমারির এই দীর্ঘ বন্ধে চরম শিক্ষা সংকট তৈরি হয়েছে। সেখানে কেবলমাত্র চতুর্থ বর্ষ এবং মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য হল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত অমূলক এবং অগ্রহণযোগ্য।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ অবস্থায় অনতিবিলম্বে সবার জন্য হল-বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিয়ে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফেরার দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলন শুরু করা হবে।

এইচআর/এসকেডি