বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে ‘সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম যোগাযোগ’ বিভাগের নবীনদের বরণ করে নিল গ্রিন ইউনিভার্সিটি। সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম জুম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শেওড়াপাড়ার সিটি ক্যাম্পাসের সেমিনার হলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

বিভাগীয় চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. শেখ শফিউল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির। ‘গেস্ট অব অনার’ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক কবি সোহরাব হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে এতে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির বলেন, সাংবাদিকতা নিঃসন্দেহে চ্যালেঞ্জিং পেশা। তবে এর ভেতরেও সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো নৈতিকতা রক্ষা করা।

তিনি বলেন, সাংবাদিকতা ছোট ও সহজ বিষয় নয়। রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হলো এই সাংবাদিকতা। তাই সবচেয়ে শক্তিশালী, দায়িত্বশীল ও সম্মানজনক পেশা হিসেবে সাংবাদিকতায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের শুধু একাডেমিক জ্ঞান অর্জন করলে চলবে না, একই সঙ্গে তাকে নৈতিকবোধ সম্পন্ন ও সমাজের প্রতিও দায়বদ্ধ হতে হবে।

দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম-সম্পাদক কবি সোহরাব হাসান বলেন, চ্যালেঞ্জ থাকলেও সাংবাদিকতার ক্ষেত্র আজ অনেক প্রসারিত। একটি ছোট্ট স্মার্টফোনও এখন সাংবাদিকতার বড় অনুষঙ্গ।

তিনি বলেন, চ্যালেঞ্জ থাকবেই। তারপরও সাংবাদিকতার শিক্ষার্থীদের পথ দেখাতে হবে। তা না হলে আগামীর ভবিষ্যৎ আরও অন্ধকার হবে।

সোহরাব হাসান বলেন, তথ্য পরিবেশনের প্রক্রিয়া বছরের পর বছর অব্যাহত থাকবে। কিন্তু মানুষের সঙ্গে মানুষের যে যোগাযোগ, সেটি অব্যাহত রাখা জরুরি। এখন শুধু লিখতে পারলেই সাংবাদিক হওয়া যায় না। আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে নিজেকে সংযুক্ত করাও এখন সাংবাদিকদের বড় কাজ।

তিনি বলেন, গ্রিন ইউনিভার্সিটির নামের মধ্যেই এক ধরনের সজীবতা আছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগ অন্যান্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তো বটেই, অনেক সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়েও ‘অনুকরণীয়’ হয়ে উঠবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য যে বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রেই মনগড়া ও অসত্য তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করা হয়ে থাকে। কখনও কখনও চটকদার হেডলাইন দিয়ে অন্তঃসারশূন্য সংবাদও ছাপা হয়। গ্রিন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা এক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করে জাতিকে গৌরবোজ্জ্বল ভবিষ্যৎ উপহার দেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে গল্পের মাধ্যমে সাংবাদিকতা নিয়ে আলোচনা করেন বিভাগীয় চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. শেখ শফিউল ইসলাম। সমাজ ও রাষ্ট্রকে সেবা দিতে শিক্ষার্থীদের সত্যিকারের জ্ঞানার্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

নবীন বরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. গোলাম আহমেদ ফারুকী প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিভাগের শিক্ষক জাকিয়া জাহান মুক্তা।

এছাড়াও নবীন বরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জিইউবির বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানরা, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এস এম. কে নাজমুল হক, শাখা প্রধানরা ও বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। পরে একই ভেন্যুতে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এমএইচএস