ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) কুকুরের উৎপাত বেড়েছে। সম্প্রতি কুকুরের কামড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী ও পথচারী আহত হয়েছেন। 

রোববার সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ও তার আশপাশের এলাকায় অন্তত পাঁচজনকে কুকুরে কামড়েছে বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে তিনজন শিক্ষার্থী ও দুজন পথচারী। 

এছাড়া, কয়েকদিন আগে মধুর ক্যান্টিনে একজনকে কুকুর কামড় দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে একজন ভিক্ষুককে কুকুরে কামড় দিয়েছিল বলে জানা যায়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কুকুরের সংখ্যা অনেক। করোনা মহামারির কারণে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস বন্ধ ছিল। তখন কুকুর দলবেঁধে ক্যাম্পাসে নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়িয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় খোলাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের আনাগোনা বেড়েছে। বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন। শিক্ষার্থীদের মধ্যে এখন কুকুর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

কুকুরের কামড়ে আহত ঢাবির ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী মোতাহার হোসেন বলেন, আমি সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে যাওয়ার সময় প্রক্টর অফিসের সামনে আমাকে কুকুর কামড় দেয়। তখন, একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, কিছুক্ষণ আগেও এখানে দুজনকে কুকুরে কামড় দিয়েছে। আমি তখন আহত অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সামনে গিয়ে একজন পথচারীকে কান্নারত অবস্থায় দেখতে পাই। তিনি জানান তাকেও কুকুরে কামড় দিয়েছে। একইদিন আরও একজনকে কুকুর কামড় দিয়েছে বলেও ওই পথচারী জানান।

দুই শিক্ষার্থীর পায়ে কুকুর কামড়েছে 

আহত এক পথচারী জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আগের তুলনায় কুকুরের সংখ্যা বেড়েছে। বেশ কিছু পাগলা কুকুর এখানে ঘুরে বেড়ায়। সবসময় আতঙ্কে থাকি, আর আজ তো একটা বিপদ হয়েই গেল। সাবধান না হলে অনেককেই এমন বিপদে পড়তে হবে।

বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে খোলার পর শিক্ষার্থীদের আনাগোনা বেড়েছে। আর এখন ক্যাম্পাসে কুকুরের কামড়ে শিক্ষার্থীরা আহত হচ্ছেন। তাই প্রশাসন যেন কুকুরমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত করে। 

কুকুরে কামড়ানো নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। ব্যবস্থা তো নিতেই হবে। যেহেতু আমার শিক্ষার্থীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। সকালে আমরা জানার পরেই তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিয়েছি।

তিনি বলেন, এটি মূলত সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব। কিছু পশুপ্রেমী আছেন, তাদেরও সহযোগিতা লাগবে। দ্রুত কুকুরগুলো ক্যাম্পাস থেকে সরিয়ে নেওয়া না হলে আমরা সরানোর ব্যবস্থা নেব।

এইচআর/আরএইচ