ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের যেকোনো তথ্য সহায়তা, দিকনির্দেশনা ও সহযোগিতার জন্য প্রতি বছরের মতো এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নানান উদ্যোগ লক্ষ্য করা গেছে। এর মধ্যে আলাদা নজর কেড়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেওয়া উদ্যোগ ‘অ্যাম্বুলেন্স সেবা’।

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সেবা দিতে ভর্তি পরীক্ষার প্রথম দিন (১ অক্টোবর) থেকে ক্যাম্পাসের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদের অ্যাম্বুলেন্সটি। কোনো শিক্ষার্থী কিংবা অভিভাবক যদি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে তাদের তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নিতেই এই উদ্যোগ। 

অ্যাম্বুলেন্স সেবার সমন্বয় করছেন ঢাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান। ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, করোনা মহামারি ও সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে পরীক্ষা চলাকালীন আকস্মিক কেউ অসুস্থ হলে দ্রুততম সময়ে হাসপাতালে পৌঁছে দিতেই বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এই উদ্যোগ।

তিনি বলেন, আমাদের ব্যানার পোস্টারে দেওয়া নির্দিষ্ট নম্বরে (01630643616) কল করলেই ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা পাওয়া যাবে। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, দেশের অন্য যেসব কেন্দ্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেখানেও এই সেবা পাওয়া যাবে।

ঢাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসাইন ঢাকা পোস্টকে বলেন, পরীক্ষার কেন্দ্রগুলোতে প্রচুর ভিড় হয়। প্রতিবছরই পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়ার খবর আমরা পাই। এ বছর করোনার কারণে এই আশংকা আরও বেশি। এজন্য ছাত্র অধিকার পরিষদ দেশব্যাপী পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রস্তুত করে রেখেছে। শুধু পরীক্ষার্থীরা নয়, অভিভাবকদেরও আমরা এই সেবা দিতে প্রস্তুত। ভর্তি পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই সেবা চলমান থাকবে। 

এছাড়া ভর্তিচ্ছুদের তথ্য সহায়তা দিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কলাভবন, কার্জন হল, বিজনেস ফ্যাকাল্টিসহ বেশ কয়েকটি স্থানে হেল্প ডেস্ক দিয়েও সংগঠনটির নেতাকর্মীরা সহযোগিতা করছেন বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এই নেতা।

এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অন্যান্য সামাজিক, সাংস্কৃতিক, জেলা সংগঠনগুলো হেল্প ডেস্ক বসিয়ে সহযোগিতা করছে শিক্ষার্থীদের। ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে ছাত্রলীগ, ছাত্র অধিকার পরিষদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের হেল্প ডেস্ক দেখা যায়।

সহযোগিতার মধ্যে রয়েছে, প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ, স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতনকরণ, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ, চলাচলের সুবিধার্থে বাইক সার্ভিস, সুপেয় খাবার পানির ব্যবস্থা, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য হুইলচেয়ার ও প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সরবরাহ, অভিভাবকদের বিশ্রাম গ্রহণের ব্যবস্থা, তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য ‘মেডিকেল ক্যাম্প’ ইত্যাদি।

এইচআর/এইচকে