চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষ (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামী ২৭ অক্টোবর। যা চলবে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত। চারটি ইউনিট ও দুইটি উপ-ইউনিটে ৪ হাজার ৯২৬টি আসনে ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন ১ লাখ ৮৩ হাজার ৮৬৩ জন ভর্তিচ্ছু। সে হিসেবে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বে ৩৭ জন শিক্ষার্থী।

চট্টগ্রাম শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে এ ক্যাম্পাসের ভর্তি পরীক্ষায় বেশ বেগ পেতে হয় ভর্তিচ্ছুদের। দূরের শিক্ষার্থীদের থাকা-খাওয়ার কথাও চিন্তা করতে হয়। ভাবনায় রাখতে হয় এসবের খরচাপাতিও।   

ক্যাম্পাসে ভর্তি পরীক্ষায় এসে শিক্ষার্থীদের থাকা-খাওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হলো।

যেভাবে আসা যাবে ক্যাম্পাসে:

প্রতিটি জেলা থেকেই চট্টগ্রামের বাস পাওয়া যায়। বাসে চড়ে চট্টগ্রাম শহরে আসতে হবে। আর যেখানে ট্রেন স্টেশন আছে তাদের সরাসরি চট্টগ্রামের অথবা ঢাকা রুটের ট্রেনে চড়ে চট্টগ্রামের বটতলী স্টেশনে নামতে হবে। এখান থেকে ক্যাম্পাসের শাটল ট্রেন আছে। স্টেশনে কাওকে জিজ্ঞেস করলে দেখিয়ে দেবে। ঐ ট্রেনে সরাসরি ক্যাম্পাসে আসা যাবে।

শহর থেকে চবি ক্যাম্পাসে:

দেশের যেকোনো জায়গা থেকে চট্টগ্রাম শহরে আসতে হবে। এরপর বাস অথবা অটোরিকশায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং গেইটে আসতে হবে। ভাড়া নেবে ১০-১৫ টাকা। সেখান থেকে সিএনজি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত ছয় টাকা ভাড়া নেবে। 

ছেলেদের থাকার জায়গা:

ছেলেদের জন্য রয়েছে শাহ-আমানত হল, শাহজালাল হল, সোহরাওয়ার্দী হল, শহীদ আব্দুর রব হল, আলাওল হল, এফ.আর রহমান হল। এ ক্ষেত্রে পরিক্ষার্থীদের সার্বিক সহযোগিতা করে থাকে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনগুলো। এবং নিজ নিজ জেলার বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক অ্যাসোসিয়েশন। এ ছাড়াও পরিচিতদের মাধ্যমে এলে ক্যাম্পাস এবং ক্যাম্পাসের আশেপাশে মেস এবং কটেজগুলোতে থাকা যায়।       

মেয়েদের জন্য:

মেয়েদের জন্য আছে প্রিতীলতা হল, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া হল, শামসুন নাহার হল, সূর্যসেন হল। এ ছাড়া ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী ভাড়া বাসাগুলোতে মেয়ে পরিক্ষার্থীরা পরিচিত ছাত্রীদের মাধ্যমে অবস্থান করে থাকে।

থাকা যাবে বাইরেও:

চাইলে চট্টগ্রাম শহর এবং হাটহাজারী উপজেলার আবাসিক হোটেলে থাকা যাবে। চট্টগ্রাম শহর থেকে যাতায়াতের সুবিধার্থে চালু থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন। সে হিসেবে গাড়ি ছাড়াও শহর থেকে ক্যাম্পাসে আসা যাওয়া করা যাবে ট্রেনে।

খাবারের খরচাপাতি:

সাধারণত হলের ডাইনিং গুলোতে ২০-৩০ টাকার মধ্যে খাবার পাওয়া যায়। যে মেন্যূতে থাকে মাছ-মাংস, সবজি, ডাল, ভাত। ক্যাম্পাসের ক্যাফেটেরিয়াতেও ৩০-৫০ টাকার মধ্যে মানসম্মত খাবার পরিবেশন করা হয়।  এক্ষেত্রে সোহরাওয়ার্দী ক্যাফেটেরিয়া, আলাওল ক্যাফেটেরিয়ায় নির্ভাবনার জায়গা।    

বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা, সমাজবিজ্ঞান এবং লেডিস ঝুপড়ির খাবারের দোকানেও ৩০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে খিচুড়ি, ভাত পাওয়া যায়। ঝুপড়িগুলোতে বিশেষ করে ভর্তার হরেক রকম পদ পাওয়া যায়। আর ক্যাম্পাসে অবস্থিত হোটেলগুলোতে খেতে চাইলে, ৫০-৮০ টাকার মধ্যে যে কোনো আইটেমের খাবার পাবেন। শাহ আমানত হলের সামনে ঢাকা হোটেল এবং জিলানী হোটেল প্রয়াস হোটেল ছাড়াও ছোট বড় আরও অনেক খাবারের দোকান রয়েছে।

রুমান হাফিজ/আরআই