সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেওয়ার ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) একটি প্রতিনিধি দল অস্থায়ী ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছেছেন। বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পৌঁছানোর পর তারা তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক বিশ্বস্ত সূত্র এবং তদন্ত কমিটির প্রধান ও রবীন্দ্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান লায়লা ফেরদৌস হিমেল ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজার নেতৃত্বে এই তদন্ত কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন- ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক জামিলুর রহমান এবং ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের সহকারী পরিচালক আবু ইউসুফ হীরা। দুজন ক্যাম্পাসে এলেও তদন্ত কমিটির প্রধান প্রফেসর দিল আফরোজা ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন বলে ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. সোহরাব আলী।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের এই প্রতিনিধি দল ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী, অভিযুক্ত শিক্ষিকা, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া চার সদস্যের প্রতিনিধি দল, তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভাগীয় চেয়ারম্যান ছাড়াও রবীন্দ্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান লায়লা ফেরদৌস হিমেলের নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটির সঙ্গে কথা বলবেন।

আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একটি মাইক্রোবাসে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন।

রবীন্দ্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান লায়লা ফেরদৌস হিমেল ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইউজিসির তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির একটি প্রতিনিধি দল আসার কথা থাকলেও দুজন এসেছেন ও তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন। এছাড়া অভিযুক্ত শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনও বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছেন। তবে এই প্রতিনিধি দলের তদন্ত কার্যক্রম আজই শেষ হবে কি না এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু বলা যাচ্ছে না।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. সোহরাব আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইউজিসির প্রতিনিধি দল এসে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন। আজ তদন্তের জন্য নির্ধারিত দিন। তবে কার্যক্রম শেষ হবে কি না বলা যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিযুক্ত শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন ও ভারপ্রাপ্ত ভিসি ট্রেজারার আব্দুল লতিফের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও সাড়া মেলেনি।

শুভ কুমার ঘোষ/এসপি