১৮০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণিল আলোয় সেজেছে রাজধানীর ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাস। শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকেই ১৮১তম বছরে পদার্পণ উপলক্ষে আলোকসজ্জা করা হয় পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে।

সরেজমিনে দেখা যায়, কলেজের মূল ফটক থেকে শুরু করে প্রশাসনিক ভবন, বিজয় চত্বর, স্বাধীনতা চত্বর, নতুন ভবন, শহীদ মিনার চত্বর-সহ দুই পাশের সীমানাপ্রাচীর জুড়ে বর্ণিল আলোকসজ্জা। ক্যাম্পাস জুড়ে সাজ সাজ রব। দলবেঁধে ঘুরতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের।

ফরহাদ হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, দীর্ঘদিন করোনার কারণে ক্যাম্পাসের বাইরে ছিলাম। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণিল আলোকসজ্জা এবং শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি দেখে অনেক বেশি ভালোলাগা কাজ করছে। তবে দেশের সবচেয়ে প্রাচীন প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনে শুধুমাত্র আলোকসজ্জাই যথেষ্ট নয় বলে অভিমত অনেক শিক্ষার্থীর। 

শুভময় দাস নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, শতবর্ষী এমন প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনেকটা নীরবে-নিভৃতেই পালিত হয়। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা চাই জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে ঢাকা কলেজের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হোক।

এর আগে ঢাকা কলেজ প্রশাসন কলেজের ১৮০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করে। অধ্যক্ষের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ১৯ ও ২০ নভেম্বর কলেজ প্রাঙ্গণ এবং কলেজ প্রাচীরে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হবে। একইসাথে ২০ নভেম্বর সকাল নয়টায় শিক্ষক, ছাত্র ও কর্মচারীর সমন্বয়ে আনন্দ র‍্যালি, দুপুর তিনটায় ঢাকা কলেজের খেলার মাঠে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ, রাত আটটায় অনুমতি প্রাপ্তি সাপেক্ষে আতশবাজি ফুটানো হবে। ঢাকা কলেজের বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রদর্শনী স্টল এবং আলোচনাসভার তারিখ ও সময় পরবর্তীতে জানানো হবে। 

ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার বলেন, ঢাকা কলেজ একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘ সময় জুড়ে প্রতিষ্ঠানটি তার শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আনন্দঘন পরিবেশে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা যায়। 

এদিকে, শনিবার (২০ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের স্নাতক শ্রেণির চূড়ান্ত পরীক্ষার কেন্দ্র ঢাকা কলেজ। এ কারণে আলোচনা অনুষ্ঠান এবং প্রদর্শনী স্টল করা সম্ভব হয়নি বলে জানান ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই. কে. সেলিম উল্লাহ খোন্দকার। 

তিনি বলেন, ১৮১তম বর্ষে ঢাকা কলেজের পদার্পণ উপলক্ষে বর্তমান পরিবেশ-পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা বেশ কিছু কর্মসূচি দিয়েছি। প্রত্যাশা রাখছি শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে আনন্দঘন পরিবেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।

আরএইচটি/এইচকে