শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে ‘বাদুড়ঝোলা’ ভিড়
শিক্ষার্থীদের তুলনায় ছাত্রছাত্রী পরিবহনের জন্য নির্ধারিত বাসের সংখ্যা কম থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে বাসের আসনের চেয়ে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী নিয়েই চলাচল করছে বাসগুলো।
এছাড়াও পূর্বের ন্যায় ছাত্রছাত্রীদের বাসের শিডিউল না থাকায় নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এতে ভোগান্তি কমাতে বাসের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
বিজ্ঞাপন
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শাবির মোট শিক্ষার্থী ৯ হাজার ৬৯৯ জন। এর অর্ধেকের মতো শিক্ষার্থী প্রতিদিন ক্যাম্পাসে যাতায়াত করেন। কিন্তু এই বিশাল শিক্ষার্থীদের বিপরীতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ছাত্রছাত্রী পরিবহনের জন্য বাসের সংখ্যা মাত্র ৯টি।
এদিকে করোনা মহামারির পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের শিডিউল একরকম থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর সব বাস আগের শিডিউল অনুযায়ী চলছে না। পূর্বের শিডিউল অনুযায়ী দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে ক্যাম্পাস থেকে বাস ছেড়ে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টের উদ্দেশ্যে যাওয়ার কথা থাকলেও নতুন শিডিউল অনুযায়ী তা যাচ্ছে না।
বিজ্ঞাপন
এছাড়াও রাত ৮টা ১০ মিনিটে ক্যাম্পাস থেকে শহরের বিভিন্ন স্থানে বাস ছেড়ে যাওয়ার কথা, কিন্তু এই সময়েও কোনো বাস এখন ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে যাচ্ছে না। এমতাবস্থায় ক্যাম্পাসে যাতায়াতে ভোগান্তিতে পড়ছে শিক্ষার্থীরা।
বাসের শিডিউল পরিবর্তন হওয়ায় ভোগান্তির কথা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী আরমান হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকালে ক্লাস থাকলে দুপুরের বাসেই অধিকাংশ শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস থেকে বাসায় ফিরে। এমনিতেই আমাদের শিক্ষার্থীদের তুলনায় বাসের সংখ্যা অপ্রতুল।
তিনি আরও জানান, এরমধ্যে দুপুর ১২টা ১০ মিনিট এবং ১টা ১০ মিনেটে বাস ছেড়ে যাবার কথা থাকলেও শুধু দুপুর ১টা ১০ মিনিটের বাস ক্যাম্পাস থেকে যাতায়াত করছে। এদিকে বাসের তুলনায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় দাঁড়িয়ে এবং বাসের দরজায় বাদুড়ঝোলা করে যাতায়াত করতে হয় আমাদের।
এছাড়াও বাসের ড্রাইভার এবং হেলপাররা প্রায়ই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ করেন অনেক শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. জহির বিন আলম বলেন, লোকবল কম হওয়ায় সব গাড়ি একসঙ্গে চলছে না। খুব দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান করা হবে।
জুবায়েদুল হক রবিন/এমএসআর