শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) শাখা ছাত্রলীগের সপ্তাহব্যাপী কর্মীসভার কারণে পরীক্ষা পেছানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শেষনজটে আটকে থাকা শিক্ষার্থীরা।

করোনায় দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় সেশনজট কমাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চেষ্টা করে গেলেও শেকৃবি ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী উপাচার্য এবং ডিনদের কাছে পরীক্ষা পেছানোর আবেদন জানিয়েছেন।  

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের হল কমিটি ঘোষণার লক্ষ্যে ১ ডিসেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী চলবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টি হলের কর্মীসভা। আর এ কর্মীসভা ঘিরেই পরীক্ষা  পেছাতে চান ছাত্রলীগেরে নেতাকর্মীরা।  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কৃষি অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের একজন ক্লাস প্রতিনিধি বলেন, কিভাবে তাড়াতাড়ি অনার্স শেষ করা যায় সেজন্য আমরা জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অনেকদিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় আমরা দীর্ঘ শেষনজটে আটকে আছি। রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সেশনজটে পড়তে হচ্ছে। আমরা নিয়মিত পরীক্ষা দিতে চাই। পরীক্ষা পিছিয়ে শেষনজট বাড়াতে চাই না। আমরা সেশনজটের অভিশাপ থেকে বের হতে চাই।

পরীক্ষা পেছানোর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. পরিমল কান্তি বিশ্বাস বলেন, কিছু শিক্ষার্থী পরীক্ষা পেছানোর জন্য চেষ্টা করছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটাই হবে। আমি একক সিদ্ধান্ত দেওয়ার কেউ না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া বলেন, আমার কাছে ছাত্ররা এসেছিল, আমি ফিরিয়ে দিয়েছি। তাদের পরীক্ষা হবে বলে দিয়েছি। ডিনকে দায়িত্ব দেওয়া আছে তিনি বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের সাথে বসে সিদ্ধান্ত নেবেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।

মো. আব্দুল্লাহ/এনএফ