রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস নম্বর ৪০ না পাওয়া ৪০ ভর্তিচ্ছু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষা উপ-কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভর্তিকৃতরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর সন্তান বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস নম্বর ৪০। নিয়ম অনুযায়ী পাস নম্বর পাওয়ার পরই পোষ্য কোটা কার্যকর হওয়ার কথা। কিন্তু ‘পোষ্য কোটায়’ ন্যূনতম ৩০ নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীদের ভর্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা উপ-কমিটির সিদ্ধান্তেই ন্যূনতম পাস নম্বর শিথিল করে তাদের ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়।

ভর্তি পরীক্ষা উপ-কমিটির একাধিক সদস্য জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ভর্তি পরীক্ষায় মোট আসনের পাঁচ শতাংশ বরাদ্দ থাকে, যা ‘পোষ্য কোটা’ হিসেবে পরিচিত। চলতি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েও পোষ্য কোটায় ভর্তির জন্য ৭৬ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। তাদের মধ্যে কমপক্ষে ৪০ জন রয়েছেন, যারা পরীক্ষায় ৩০ নম্বর পেয়েছিলেন।

এটা প্রতিবছরই হয়ে আসছে জানিয়ে কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক আব্দুল আলীম বলেন, আসন সংখ্যার শতকরা ৫ ভাগ পোষ্য কোটায় পূরণ করা হয়। এবার ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, ওই পরিমাণ আসন সংখ্যার বিপরীতে থাকা শিক্ষার্থীরা পাস নম্বর তুলতে পারেনি। আসন খালি থাকা সাপেক্ষে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা ৩০ নম্বর পেয়েছেন তাদের ভর্তি করার সিদ্ধান্ত হয়।

উল্লেখ্য, ৪ থেকে ৬ অক্টোবর রাবির ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা হয়। এবার তিনটি ইউনিটে মোট এক লাখ ২৭ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষার জন্য মনোনীত হন। ভর্তিচ্ছুদের পাস করার জন্য অন্তত  ৪০ নম্বর পেতে হয়। তবে চলতি শিক্ষাবর্ষে পোষ্য কোটায় ন্যূনতম ৩০ নম্বর প্রাপ্ত ভর্তিচ্ছুদের বিভিন্ন বিভাগে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এর আগে, সর্বশেষ ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ৪৬ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েও পোষ্য কোটায় ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলেন।

মেশকাত মিশু/এমএসআর