ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবাহিত ছাত্রীদের হলে থাকার বিধিনিষেধ এবং প্রচলিত নিয়ম বাতিলের সুপারিশ করায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ছাত্রীরা।

বুধবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ঢাকা পোস্টের মাধ্যমে ছাত্রী প্রতিনিধিরা এ ধন্যবাদ জানান। এ সময় তারা বাকি তিন দাবিও বাস্তবায়নের দাবি জানান।

শামসুন নাহার হল ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের এই যৌক্তিক দাবিটি মেনে নেওয়ায় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই। তবে আমাদের বাকি যে তিন দাবি সেগুলো গ্রহণ না করায় আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট না। প্রত্যেকটি দাবি আমাদের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। ছাত্রীরা দিনের পর দিন সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হচ্ছে। আমরা এই দাবিগুলোরও বাস্তবায়ন চাই।

বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল সংসদের সাধারণ সম্পাদক সাগুফতা বুশরা মিসমা বলেন, এই দাবিটি মেনে নেওয়ায় আমরা সবাই আনন্দিত। এখন মেয়েগুলো থাকার মতো সেফ (নিরাপদ) একটা জায়গা পাবে। এটা আমাদের জন্য আনন্দের ব্যাপার এবং এজন্য প্রশাসনে ধন্যবাদ। বাকি দাবিগুলোও বিবেচনায় নেওয়া উচিত ছিল।

এ সময় তিনি ‘স্থানীয় অভিভাবক’র পরিবর্তে ‘জরুরি যোগাযোগ’ শব্দটি রাখা, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্বারা হয়রানি এবং অসহযোগিতামূলক আচরণ বন্ধ করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা এবং অনাবাসিক ছাত্রীদের হলে প্রবেশের অধিকার পুনর্বহাল ও জরুরি প্রয়োজনে তাদের হলে অবস্থান করতে দেওয়ার দাবিগুলোরও বাস্তবায়নের দাবি জানান।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের দাবির মুখে বুধবার সন্ধ্যায় প্রভোস্ট কমিটির এক সভায় এই সুপারিশ করা হয়। এর আগে শামসুন নাহার হল ও বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে বিবাহিত দুই ছাত্রীর সিট নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। এরপর থেকেই পাঁচটি ছাত্রীহলের শিক্ষার্থীরা নানাভাবে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন। 

এইচআর/এইচকে