শীতে পালা বদল ঘটে পরিবেশের। দেখা যায় নতুন রূপ, নতুন সাজ। কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয় চারপাশ। শীতের এই আবহকে বরণ করে নিতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজন করা হয়েছে ‘কুয়াশা উৎসব’।

বুধবার (০৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানটির পর্দা নামছে আজ (০৬ জানুয়ারি) রাতে।

আয়োজকরা জানান, এই শহুরে জীবনে প্রায় হারাতে বসা গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য তুলে ধরতেই এ আয়োজন। বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে রয়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে চিত্রকলা প্রদর্শনী, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, পিঠা পার্বণ উৎসব, বইমেলা, সংগীত, নৃত্য, স্ট্যান্ড-আপ কমেডি, ইনস্টুলেশন আর্ট, পারফরমেন্স আর্ট, কীর্তন ও সাহিত্য আলোচনা।

আরও আছে হাতে তৈরি বিভিন্ন শীতবস্ত্র ও পিঠার সঙ্গে গ্রামীণ ঐতিহ্যকে দেখার এক অনন্য আয়োজন। আর এ উৎসব ঘিরে পুরো মাঠ সাজে গ্রাম-বাংলার সাজে। বিভিন্নভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে গ্রামীণ পরিবেশ ও ঐতিহ্য। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় নানা দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা মনে করি এই বিশ্ববিদ্যালয়টি বাংলাদেশে অনন্য বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। 

তিনি আরও বলেন, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় একেকটি বিশেষ কাজে পরিচিত থাকে। কুয়াশা উৎসবটি তেমনই উৎসবে পরিণত হয়েছে। শান্তিনিকেতনে যেমন তাদের নিজস্ব একটি অনুষ্ঠান হয় পৌষমেলা, তেমনি আমরা বোধকরি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কুয়াশা উৎসবটি আগামীতে একটি জাতীয় উৎসব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।

উবায়দুল হক/এমএসআর