ঢাবির ক্রিমিনোলজি বিভাগে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ কর্নার
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ধারণ করতে এবং বঙ্গবন্ধুর ওপর গবেষণায় অনুপ্রেরণা দেওয়ার উদ্দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্রিমিনোলজি বিভাগে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ কর্নার’ স্থাপন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) কর্নার উদ্বোধন ও বঙ্গবন্ধুর শতবার্ষিকী উপলক্ষে দেয়াল পত্রিকার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল। বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিভাগের চেয়ারম্যান খন্দকার ফারজানা রহমান।
বিজ্ঞাপন
প্রধান অতিথি ড. মাকসুদ কামাল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে তার সংগ্রামী জীবনকে শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সর্বদা মানুষের জন্য সোচ্চার ছিলেন। গণ মানুষের আন্দোলন করতে গিয়ে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হন তখন মুচলেকা দিয়ে ছাত্রত্ব ফিরে পাওয়ার চেষ্টাও করেননি। কারণ তিনি ছিলেন মানুষের বন্ধু। বাংলার মানুষের প্রতি তার ভালোবাসা, আবেগ ও ত্যাগ যে ভুলবার নয়।
বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসকে জোর করে মনে গেঁথে দেওয়া সম্ভব নয়, সেটি হলো উপলব্ধির বিষয়। বঙ্গবন্ধুকে জানার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেই উপলব্ধি তৈরি হবে বলে ড. কামাল আশাবাদ ব্যাক্ত করেন। সেই সঙ্গে তিনি ক্রিমিনোলজি বিভাগের এই মহতী উদ্যোগের জন্য সবাইকে সাধুবাদ জানান।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানের সভাপতি ড. জিয়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ ও তিতীক্ষাময় জীবনকে স্মরণ করে শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধুর জীবনী সম্পর্কে জানার গুরুত্ব তুলে ধরেন। এছাড়াও ক্রিমিনোলজি বিভাগ প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই যে শিক্ষার্থীদের মননশীলতা চর্চা, তাদের উন্নয়নের জন্য একটি সুন্দর ও শিক্ষার্থী-বান্ধব পরিবেশ উপহার দেওয়ার চেষ্টায় সদা অগ্রজ ভূমিকা পালন করছে সেই বিষয়ও তিনি তার বক্তব্যে তুলে ধরেন।
বিভাগের চেয়ারম্যান খন্দকার ফারজানা রহমান বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও তার দূরদর্শিতাপূর্ণ নেতৃত্বের কথা তুলে ধরেন। যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধুর প্রণীত আইন ও উদ্যোগ যে বাংলাদেশের বর্তমান উন্নয়নের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পদক্ষেপ ছিল খন্দকার ফারজানা তার বক্তব্যে তুলে ধরেন। তাছাড়াও শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে তাদের পাঠক্রমে বাংলাদেশ ও সমাজের ইতিহাসভিত্তিক পাঠদানের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য, কর্নারটি প্রতিষ্ঠার জন্য রকমারি ডটকম বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ৭০টি বই অনুদান দেন। এজন্য বক্তারা রকমারি ডটকমকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন এবং বাংলাদেশের ইতিহাস প্রসারে জ্ঞান বিনির্মাণে এমন ভূমিকাকে সাধুবাদ জানান। ক্রিমিনোলজি বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে বিভাগের শিক্ষার্থীরা গান, নাচ, নাটক ও কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন চিত্র অত্যন্ত মনোরমভাবে উপস্থাপন করে।
ওএফ