উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪ শিক্ষার্থী। অনশনে বসার ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও অনশন ভাঙেনি কোনো শিক্ষার্থী। এদিকে অসুস্থ হয়ে এ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনশনরত ১১ শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) বিকেল থেকে এ পর্যন্ত মোট ১২ জন শিক্ষার্থীকে কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শমতে কিছুক্ষণ পর পর অ্যাম্বুলেন্স যোগে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর মধ্যে একজনের অবস্থা একটু উন্নতি হওয়ায় সে আবার আন্দোলনস্থলে ফিরে আসে।

জানা যায় অসুস্থ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৯ জন, জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজে ১ জন এবং মাউন্ট অ্যাডোরা হাসপাতালে ১ জন ভর্তি রয়েছেন।

অনশনরতদের মধ্যে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তার মধ্যে ১১ জন হাসপাতালে এবং ১২ জন শিক্ষার্থীকে আন্দোলনস্থলেই স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। এদিকে শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে অ্যাম্বুলেন্সও।

মেডিকেল টিমের সদস্য মো. নাজমুল হাসান বলেন, এখানে অনশনরত শিক্ষার্থীদের অবস্থা ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থীর অবস্থা গুরুতর। তবে এ সংখ্যাটা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করছি। তারা ৪৮ ঘণ্টার ওপর কেউ কিছু খায়নি। সবাই পানি স্বল্পতায় ভুগছে।

তিনি বলেন, এখানে যাদের অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে তাদের জন্য স্যালাইনসহ ওষুধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদি কোনো জরুরি অবস্থার সৃষ্টি হয় তাহলে তাদের জন্য অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এবং ওসমানী মেডিকেল কলেজে বেডের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

এর আগে গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিকেল ৫টায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ৭ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম এসে শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করছে। এ ছাড়া সব সময় একটি মেডিকেল টিম শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছে।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ বারবার অনশন ভাঙাতে এসে ব্যর্থ হয়ে ফিরে গেছেন।

জুবায়েদুল হক রবিন/আরআই