শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মশাল মিছিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলো।

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মশাল মিছিলটি শাহবাগ থেকে শুরু করে কাঁটাবন, নীলক্ষেত, রাজু ভাস্কর্য হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে এসে শেষ হয়। এর আগে বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা।

সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে, বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষ তাদের প্রতি সমর্থন ও সহমর্মিতা প্রকাশ করছে; তাদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করছে। কিন্তু এ দাবি বাস্তবায়নের কাজে যারা নিয়োজিত তারা হাসি তামাশা করছেন। ছাত্রদের এই ন্যায়সংগত দাবি কীভাবে ভূলুণ্ঠিত করা যায়, সেটা নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছেন তারা।

তিনি বলেন, শাবিপ্রবির এ পরিস্থিতি শুধু সেখানকার চিত্র নয়, সারা বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চিত্র। দুর্নীতি ও হামলাবাজ উপাচার্যের এখনই পদত্যাগ দাবি করছি। যারা উপাচার্যের পক্ষে কথা বলবে তারা তার দালাল, ফ্যাসিবাদের দালাল, অগণতান্ত্রিকতার দালাল।

ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ বলেন, পুলিশ একটা স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার কথা নয়। কিন্তু শাবিতে পুলিশ প্রবেশ করেছে। এর আগেও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের আন্দোলন হয়েছে; উপাচার্যরা তালাবদ্ধ হয়েছেন কিন্তু পুলিশ আসেনি, লাঠিচার্জ হয়নি। কিন্তু এবার তা হয়েছে। মানুষ বিশ্বাস করে পুলিশ লাঠিচার্জ না করলে সেটা জনগণের আন্দোলন নয়। আমাদের আন্দোলনে পুলিশ লাঠিচার্জের জন্য ইতোমধ্যেই প্রস্তুত হয়েছে। তাই আমরা মনে করি, আমরা সঠিক পথেই আছি।

একই সময়ে শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবিতে শহীদ মিনারে বিক্ষোভ সমাবেশে করেছে নাগরিক ছাত্র ঐক্য। সমাবেশ শেষে তারাও একটি মশাল মিছিল বের করে। মিছিলটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে শেষ হয়।

এইচআর/এসকেডি/জেএস