আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ১৩ বছর একটানা ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনা ওয়াদা করেছিলেন, দেশে ফিরে এসে গণতন্ত্র জনগণের দোরগোড়ায় ফিরিয়ে দেবেন। সেই সংকল্প নিয়ে লড়াই করছেন তিনি। বারবার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে, হত্যা করা চেষ্টা করা হয়েছে তাকে। তিনি জনগণের আস্থা অর্জন করে ক্ষমতায় এসেছেন। কারো দয়ায় তিনি ক্ষমতায় যাননি।

রোববার (৩০ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার হলগুলোর সমন্বিত সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

নানক বলেন, শিক্ষাকে সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে শেখা হাসিনা সারাদেশে ৫২ পাবলিক ও ১০৮ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বে ঈর্ষণীয় দেশে পরিণত হয়েছে। আগামী জুন মাসে পদ্মা সেতু চালু করে প্রবৃদ্ধি অর্জনে আমরা নতুন মাত্রা যোগ করব।

তিনি আরো বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পবিত্র শিক্ষার বিদ্যাপীঠ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছিলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সব আন্দোলনের স্রষ্টা, সূতিকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের চিরঠিকানা, আমাদের উত্থান এখান থেকেই। এখান থেকেই আমরা ছাত্রলীগের পদপদবী পেয়েছি।

এসময় বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি বরিকুল ইসলাম বাঁধনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।

আবদুর রহমান বলেন, নিষ্ঠার সঙ্গে এই দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন শেখ হাসিনা। আজ পর্যন্ত তার কোনো দুর্নীতির কথা কেউ তুলে আনতে পারেনি। বরং আজকে বিশ্বসভায় তিনজন সৎ প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে নেত্রী শেখ হাসিনা একজন সৎ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন। আজকে বাঙালি জাতির ঠিকানা পেরিয়ে তিনি বিশ্বমঞ্চে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সেই নেত্রীর নেতৃত্বে আজ এই জাতির অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জন হচ্ছে। মানুষ আজ রাত পোহালেই নতুন নতুন সমৃদ্ধি দেখতে পায়, নতুন নতুন অগ্রগতির মিছিল দেখতে পায়। সেই জাতির বিরুদ্ধে আজ এক নতুন ষড়যন্ত্র তৈরি হচ্ছে। আর সেই ষড়যন্ত্রকে রুখতে পারে কেবল একটি শক্তি, একটি সংগঠন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

আ ফ ম বাহউদ্দিন নাসিম বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিলো, তারা কীভাবে বিএনপির বন্ধু হয়? তাদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে বিশ্বাস করে! এটা কি আমাদের বিশ্বাস করতে হবে? যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিদেশে অপপ্রচার করে, অর্থ বিনিয়োগ করে, লবিস্ট নিয়োগ করে, তাদের কবর রচনা করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে এগিয়ে আসতে হবে।

বি এম মোজাম্মেল হক বলেন, যারা বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করা যাবে না মর্মে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে পরবর্তী সময়ে তা আইনে পরিণত করেছিলো, তারাই এখন মানবাধিকারের কথা বলে। সব ষড়যন্ত্রের বেড়াজালকে ছিন্ন করে আমরা অসাম্প্রদায়িক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলবোই তুলবো।

এইচআর/জেডএস